উত্তরায় সিগারেট-জুতার সূত্র ধরে বৃদ্ধা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

সিগারেট ও জুতার সূত্র ধরে রাজধানীর উত্তরখানে হাজেরা খাতুন (৮০) নামের একজন বৃদ্ধাকে হত্যা মামলার আসামী আরব আলীকে (৫৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের উপ-পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিসি মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।

এর আগে এর আগে উত্তরখানের মাস্টারপাড়ার ওজাপাড়া ৮২/৩ নম্বর বাড়ির উত্তর পাশের রুমে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে হত্যাকান্ডের খবর পায় পুলিশ। পরে রাত ৮টার দিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত বৃদ্ধার মেয়ে নাজমুন নাহার বীনা বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে হত্যা মামলা করেন।

ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, ‘হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত সিগারেটের অংশ বিশেষ, আসামীর ব্যবহৃত জুতা ও ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিটিটিভি ক্যামেরা পর্যালোচনা করা হয়। এসব আলামরের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহযোগীতায় হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত মূল আসামী মো. আরব আলীকে (৫৮) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং এলাকা থেকে বুধবার (৫ জুলাই) গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

বৃদ্ধাকে হত্যার ঘটনার করা মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে দিয়ে ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, ‘নিহত হাজেরা বেগম বাড়ির সর্ব উত্তরে রুমে একা বসবাস করতেন। দক্ষিণপাশের চারটি রুমে ভাড়াটিয়ারা বসবাস করেন। কিছুদিন পূর্বে ভাড়াটিয়া নাসিমা বেগম ও আরব আলী সঙ্গে বাসা ভাড়া সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে মনমালিন্য ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। গত সোমবার (৩ জুলাই) নিহত বৃদ্ধাকে তার মেয়ে একাধিকবার ফোন করে পান নি। পরের দিন মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে মামাতো ভাই রবিন মামলার বাদীকে ফোন করে জানায়, হাজেরা বেগমের রুমের বাহির দিক থেকে তালাবদ্ধ। জানালা দিয়ে ফ্লোরে শোয়া অবস্থায় তাকে দেখা যাচ্ছে। পরে বাদীর মামা আবুল হোসেন ও তার মামাতো ভাই রবিনসহ আশেপাশের লোকজন এসে রুমের তালা ভেঙ্গে ফ্লোর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে বাসার বিছানার উপর মালামাল এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।’

মামলার অভিযোগে বীনা বলেন,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে তার মার মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেঁতলিয়ে হত্যা করে রুমের দরজা বাহির দিকে থেকে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায় খুনিরা।

সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণখান জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. তরিকুর রহমান,বিমানবন্দর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো.তৌহিদুল ইসলাম, উত্তরা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. বদরুল হাসান, দক্ষিণখান জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাকিবা ইয়াসমিনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

//এস//