নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর বনানীতে চেকপোস্টে কনস্টেবল আশরাফ উজ জামান রনি (২২) প্রেমঘটিত কারণে বিষণ্ণতায় আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, কনস্টেবল রনির সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের জেরে তারা মোবাইলে বেশিরভাগ সময় কথা বলত। গতকাল বুধবার রাতের বেশিরভাগ সময় তারা মোবাইলে কথা বলেন। সকালে ডিউটিতে আসার আগেও কথা হয় তাদের দুজনের মধ্যে।
ডিসি শহিদুল্লাহ আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে নিহতের মোবাইল ফোন চেক করে দেখা গেছে, প্রেমঘটিত কোনো বিষয় নিয়ে কনস্টেবল রনির প্রেমিকার সঙ্গে কোনো ঝামেলা চলছিল। এ কারণেই তিনি নিজের পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে এ বিষয়ে তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে।
কনস্টেবলদের কাছে পিস্তল থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, কনস্টেবলদের পিস্তল সরবরাহ করে না পুলিশ। তবে ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানীর চেকপোস্টে নিয়জিত কনস্টেবলরা পিস্তল ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছেন। আর সেই পিস্তলেই আত্মহত্যা করেছেন কনস্টেবল রনি।
ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কর্মরত যেসব কনস্টেবল চেকপোস্টে ডিউটি করে তারা পিস্তল ব্যবহার করতে পারে জানিয়ে ডিসি (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ডিএমপির সদর দপ্তর থেকে সিদ্ধান্ত হয় চেকপোস্টে ডিউটির সুবিধা ও নিরাপত্তার স্বার্থে কনস্টেবলরা পিস্তল ব্যবহার করতে পারবেন। এটি অনেক আগে থেকেই সব চেকপোস্টে ব্যবহার হচ্ছে।
এর আগে বনানী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বনানীর ১১ নম্বর চেকপোস্ট থেকে রনি অন্য পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে আসে। পরে চেকপোস্টের ওয়াশরুমে গিয়ে ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে সে নিজের পিস্তল দিয়ে নিজের বুকে গুলি করে আত্মহত্যা করে।
এ ঘটনার সময় অন্যান্য পুলিশ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তারাও আমাদের বিষয়টি বলেছেন। নিহত পুলিশ সদস্যের মরদেহ ময়নাতদন্তের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কনস্টেবল রনি পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের (পিওএম) দক্ষিণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। নিহত রনির বাড়ি ধামরাই।
সিএনএন//এস//