দুর্গম চরাঞ্চলে মরিচের বাম্পার ফলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিরাজগঞ্জে যমুনার দুর্গম চরগুলোতে মরিচ আবাদ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। চরাঞ্চলে উৎপাদিত মরিচ প্রতিদিন পাইকারি ব্যবসায়ী ও ব্যাপারীদের হাত ঘুরে পৌঁছে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
সদর উপজেলা, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চল। প্রতিটি চরের বালুময় মাঠ এখন ঢেকে আছে সবুজের চাদরে। আর এই সবুজের ভেতর উঁকি দিচ্ছে লাল, সবুজ আর কালচে রঙের মরিচ।

এক সময়ের ধু-ধু বালুচরের বিস্তীর্ণ এলাকায় মরিচের ফলন ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। চরাঞ্চলের ফসলি মাঠে এখন মরিচ উত্তোলনে ব্যস্ত তারা।

চরাঞ্চলে স্থানীয় জাতের মরিচ আবাদ করে উৎপাদন খরচ কম ও ভালো দাম পাওয়ায় লাভবান যমুনার চরের কৃষকরা। চাষিরা জানান, বিঘাপ্রতি জমিতে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে উৎপাদিত মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায়।

ব্যাপারীরা স্থানীয় নারীদের দিয়ে মরিচ উত্তোলন করে বস্তায় ভরে সেই মরিচ বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন শহরের পৌর পাইকারি সবজি আড়তে। আর এই আড়তেই রাতভর চলে মরিচ কেনাবেচা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ীরা এ আড়ত থেকে মরিচ কিনে নিয়ে যান।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত বলেন, চরাঞ্চলের পতিত জমিতে মরিচসহ বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করতে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ফসল আবাদে কৃষকদের প্রণোদনাও দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার ১ হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ করা হয়েছে, যা থেকে ১৩ হাজার মেট্রিক টন মরিচ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।

সিএনএন//এস//