নোয়াখালীতে বই উৎসব, ৩৫ লাখ ৬২ হাজার নতুন বইয়র ঘাটতি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীতে আনদগণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর হরিনারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাইজদী বালিকা বিদ্যানিকেতন, হরিনায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয় ঘুরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবদের মধ্যে দেখা গেছে নতুন বই পাওয়ার উৎসব আমেজ। বই উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন, নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিটু। অন্যদিকে সকালে নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন বই তুলে দেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।

বই উৎসবে জেলার ২০০৩টি প্রাথমিক ও ৩১৩টি মাধ্যমিক এবং ২৭৫টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও চাহিদা পরিমাণ বই এখনই পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তবে কয়েক দিনের মধ্যে সকল বিষয়ের বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে পারবেন বলে আশা করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা। তবে মোট ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৩৬ লাখ নতুন বইয়ের।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদসী বেগম জানান, জেলার ২০০৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন বইয়ের চাহিদা ছিলা ১৭ লাখ ১২ হাজার ৫৫৭, যার বিপরীতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা ৩ লাখের একটু বেশি নতুন বই হাতে পেয়েছি, যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই রয়েছে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির সব বই এখনো হাতে এসে পৌছায়নি। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত বইগুলো ‘বই উৎসব’ এর মাধ্যেমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামি কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের চাহিদা মোতাবেক সকল বই হাতে আসবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করতে পারবো।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর উদ্দিন মা. জাহাঙ্গীর বলেন, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে জেলার ৩১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৭৫টি মাদ্রাসায় আমাদের নতুন বইয়ের চাহিদা ছিলো ৫৪ লাখ ১৭ হাজার ৭৪৭। যার বিপরীতে আমরা নতুন বই সরবরাহ পেয়েছি ৩২ লাখ ৬৭ হাজার ২৮৫। বই উৎসবের মাধ্যেমে প্রাপ্ত বইগুলো উপজেলা থেকে বিদ্যালয়ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বাকী বইগুলো এলে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

সিএনএসডটকম//এসএল//