কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে বিপিএল শুরু করে রংপুর রাইডার্স। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালের কাছে হেরে যায় নুরুল হাসান সোহানের দল। এবার খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে রংপুর। ৪ উইকেটের জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে দলটি।
গতকাল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠেছিল ফরচুন বরিশাল। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সাকিব আল হাসানের দলকে টপকে যায় রংপুর।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩০ রানেই থামে খুলনা টাইগার্সের ইনিংস। স্বল্প টার্গেটে ব্যাটিং নেমে জয় পেতে শেষ ওভার পর্যন্ত লড়তে হয় রংপুরকে। শোয়েব মালিকের ব্যাটিংয়ে ভর করে ৩ বল হাতে রেখে জয় পায় দলটি।
রান তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারান বিপিএলে টানা তিন ফিফটি হাঁকানো রনি তালুকদার। ৭ বল খেলে ১ রানে ফেরেন তিনি। দলীয় ১ রানে প্রথম উইকেট হারানো রংপুর স্কোরবোর্ডে মাত্র ৩০ রান যোগ করতে আরও দুই উইকেট হারায়। মেহেদী হাসান ১৪ এবং সায়েম আইয়ুব ১০ রানে আউট হন।দলীয় ৫৮ রানে চতুর্থ উইকেট হিসেবে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম। ২২ বলে ২১ রান করেন তিনি। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন শোয়েব মালিক। ৩৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ রান করেন তিনি। নুরুল হাসানের সংগ্রহ ১০ রান। শেষে শামীম হোসেনের ১৬* এবং আজমত উল্লাহ উমরজাইয়ের ৮* রানে জয় পায় রংপুর।
খুলনা টাইগার্সের মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, ওয়াহাব রিয়াজ এবং নাসুম আহমেদ ২টি করে উইকেট নেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাজে শুরু করে খুলনা টাইগার্স। দলীয় ১৮ রানে তিন উইকেট হারায় দলটি। তামিম ইকবাল ১, হাবিবুর রহমান সোহান ৪ এবং শারজিল খান ১২ রানে আউট হন। শুরুর ধাক্কা সামলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন ইয়াসির আলি রাব্বি ও আজম খান। ২২ বলে ২ ছক্কায় ইয়াসির ২৫ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান আসে আজম খানের ব্যাট থেকে। ২৩ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রান করেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান। এছাড়া সাইফুদ্দিন ২২ এবং নাহিদুল ইসলাম ১৫ রান করেন। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেনি দুই অঙ্কের কোঠা। রংপুর রাইডার্সের রবিউল হক ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন। দুটি করে উইকেট পান আজমত উল্লাহ উমরজাই, রাকিবুল হাসান ও হাসান মাহমুদ।