কুদরাত-ই-খোদা:
বাংলাদেশের বাজারে যুক্তরাজ্য সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অগ্রাধিকারমূলক বানিজ্যক সুবিধা (জিএসপি) নিয়ে নতুন করে শর্ত জুড়ে দিচ্ছে ইইউ। বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে উন্নিত হলেও ২০২৪ সালের পর দুই ধাপে আরো তিন বছর জিএসপি সুবিধা পাওয়ার কথা । এখন ইউরপীয় ইউনিয়ন বলছে মানবাধীকার, শ্রম অধিকার, সুষ্ঠ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত হলে, বাংলাদেশ জিএসপি প্লাস পাবে ।
সূত্র মতে ইউ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কঠিন চিঠি চালাচালি চলছে । বানিজ্য মন্ত্রণালয় ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রে জানা গেছে সেপ্টেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে । তারপূর্বে ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট (ডিএসএ) সংশোধন করবে বাংলাদেশ । এই তথ্য জানা গেছে আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্রে ।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের রপ্তানী পণ্যের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হচ্ছে যুক্তরাজ্য । এখানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ৩৪০ কোটি পাউন্ড । এর মধ্যে বাংলাদেশ রপ্তানী করছে ২৮০ কোটি পাউন্ডের পণ্য । যুক্তরাজ্য থেকে আমদানী করছে ৬৩ কোটি পাউন্ডের পণ্য । মুলতঃ যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশে রপ্তানীর অধিকাংশই তৈরি পোশাক । অপরদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)’র সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অন্তত নয় টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনিয়োগ করতে চায় । তারা এখানে, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার মান নিশ্চিত করবে । বিডার কর্মকর্তারা বলছেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বাধা গুলো সহসাই দূর করা হবে ।
ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সাথে সংলাপের প্রেক্ষিতে জানা গেছে, স্বপ্ল উন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর ইইউ’র বাজার সুবিধা অর্থাৎ জিএসপি প্লাস পেতে হলে বাংলাদেশকে অবশ্যই শর্ত পূরণ করতে হবে । শর্ত গুলো হচ্ছে, নাগরিক ও রাজনোইতিক অধিকার, শ্রম অধিকার এবং আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হওয়া । এদিকে জানা গেছে নবায়ন যোগ্য জ্বালানীতে বাংলাদেশকে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক বাংলাদেশকে ৪৫ কোটি ইউরো দিয়েছে । ঢাকায় কূটনীতিকরা বলছেন, শ্রম অধিকার জিএসপি প্লাসের অন্যতম প্রধান শর্ত । শ্রম অধিকারের উপর ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও ইইউ’র দেশগুলোর দৃষ্টি থাকে ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, জিএসপি প্লাস পেতে হলে ৩২ টি আন্তর্জাতিক সনদ মেনে চলতে হবে । এটি বেশ চ্যালেঞ্জিং তবে অসম্ভব নয় ।
সূত্র: ইএনবি নিউজ লিঃ
//এস//