নিজস্ব প্রতিবেদক
বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজিদরে। এছাড়া অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে একশত টাকার উপরে।
বুধবার (২৮ জুন) সকালে মোহম্মদপুর কৃষি বাজার ,আদাবরসহ পাড়া মহল্লার রাস্তারদারে ফুটপাতে ভ্যানে সবজি বিক্রেতাদের কাছে থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন সবজির দাম বাড়তি।
এক প্রশ্নর জবাবে ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন, কাচাঁ মরিচের আমদানি নেই। তবে শোনা যাচ্ছে সরকার কাঁচামরিচ আমদানি করবেন, আমদানি হলেই মরিচের দাম কমে আসবে বলে ব্যাবসায়িদের দাবি।
কৃষিবাজারে একজন ক্রেতার অভিযোগ করে বলেন, মরিচের ব্যবহার চালের মতো বেশি না। কিন্তু এই অস্বাভাবিক দাম কিভাবে হয় বুঝতে পারি না। দাম আকাশচুম্বী হলে তখন শোনা যায় আমদানি করা হচ্ছে, বর্ডারে এসে গেছে। দাম কমবে। কিন্তু দাম বৃদ্ধির আগে কি করে? বাজারে প্রতিদিন পণ্যের দাম বাড়ছে বা বাড়বে সরকার বুঝতে পারে না?
বেগুন কেজি ১০০, গফঁরগাওয়ের বেগুন ১২০ টাকা, লম্বা বেগুনের কেজি ৮০ টাকা। বরবটির কেজি বাজার ভেদে ৮০ । পেঁপে ৬০ টাকা কেজি, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা। সজনে ১৮০-২০০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, শসা ১২০ টাকা, গাজর ১৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, চিচিংগা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, করল্লা বাজার ভেদে ৮০-১০০ টাকা এবং গোল আলু ৪০ টাকা, ক্যাপসিকাম ৩৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
তবে আগামিকাল কোরবাণীর ঈদ থাকায় বাজারে মাছ মাংস কম দেখা গেছে। এছাড়া ক্রেতাও কম,ঈদের ছুটিতে বেশির ভাগ মানুষ ঢাকা ছেড়ে গেছে বলেই নাকি মাছ মাংস বাজারে কম পাওয়া যাচ্ছে বলে ব্যাবসায়িদের দাবি।
তবে পূর্বের বৃদ্ধি পাওয়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি। সোনালি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি, ব্রয়লার ১৮০ টাকা। গরুর মাংস ৮০০ টাকা। খাসি ১হাজার ১০০। বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ টাকা। আমদানি করা বড় রসুনের কেজি ১৬০ টাকা, দেশি রসুনের কেজি ধরণভেদে ৮০-১৪০ টাকা। শুকনো মরিচের কেজি প্রকারভেদে ৩০০-৫০০ টাকা, আদা ২৫০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ছোট মসুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা, আমদানি করা বড় ডাল ১০০ টাকা। ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আর ডাবড়ি কেজি ৮০ টাকা। ২০০ গ্রাম লাচ্ছির প্যাকেটের দাম ৫০ টাকা। ঈদে বেড়েছে সেমাইয়ের দাম। খোলা চিনির কেজি ১৪০ টাকা। প্যাকেট চিনি ১৫০ টাকা দেশি চিনির বাজারে প্রায়ই চোখে পড়েনি।
এদিকে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরণের চাল। মোটা চাল কেজি ৫০-৫৫টাকা, বিআর আঠাশ ৬০ টাকা, চিকন চাল (মিনিকেট) ৭০ থেকে ৭২ টাকা। প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বিক্রেতাদের দাবি কেনাও পড়ছে বেশি বিক্রিও বেশী। তারা নিজেদের নিরুপায় বলে দাবি করছেন।
//এস//