নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
বগুড়া সদর থানায় মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ার কারণে লিটনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-৩ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন।
রোববার (৯ এপ্রিল) টিকাটুলি র্যাব-৩ কার্যালয়ে মাদক সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. মোমিন, মো. তৈয়ব,মো. তানজিল ও মো. রাহুল। তথ্য মতে, মোমিন ও তৈয়ব আগেও মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলো।
অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ২০২২ সালের ১৬ জুলাই বাকবিতণ্ডায় জড়িত হয় সালমান ও রাহুল। তাদের ঝগড়া দেখে ঘটনাস্থলে আসেন লিটন। লিটনও মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। তার সঙ্গে মোমেনের আগে থেকেই মাদক বিক্রি করা নিয়ে বিরোধ ছিলো। লিটন মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে মাথায় কোপ দেয় মোমেন।
তিনি জানান, এরপর গুরুতর আহত লিটনকে পিটাতে থাকে মোমেনর স্বজনরা। আশপাশের লোকজন এসে লিটনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঢাকা একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মহিউদ্দিন বলেন, এই ঘটনায় মামলা করেন মৃত লিটনের বোন। সেই মামলায় রাজধানীর মতিঝিল ও ওয়ারীতে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিরা স্বর্ণের দোকানে কাজ করতো। এতদিন আত্মগোপনে ছিলো ছদ্দ বেশে। তাদেট সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত যেভাবে মানুষকে কুপিয়েছেন তাতে তাদের দেখে মনে হয় কুখ্যাত খুনি। এরা মাদকের ব্যবসার পাশাপাশি সব ধরনের ক্রাইমেও জড়িত।
সিএনএস ডটকম//এসএল//