মারোত শাহ পরীর দ্বীপ ইউনিটে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানসিক রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণ।

মোহাম্মদ ইউনুছ অভিঃ বৃহস্পতিবার মারোত শাহ পরীর দ্বীপ ইউনিটে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানসিক রোগীদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন, মারোতের নিরলস স্বেচ্ছাসেবীরা বিচ্ছিন্ন ভাবে জীবন যাপনে অভ্যস্ত মানসিক রোগিদের মধ্যে খাবারের প্যাকেট পৌঁছিয়ে দেন।

শাহ পরীর দ্বীপ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক রহিম উল্লাহ বলেন,আপনি আপনার পরিবারের কিংবা প্রতিবেশির বা গ্রামের যেকোন বিয়ে, জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকি ও মৃত্যু বার্ষিকিসহ যে কোন প্রকার খাবার অনুষ্ঠান হতে এই অনাহারী মানসিক রোগীদের জন‍্য খাবার সরবরাহ করে পুণ্যের ভাগিদার হবেন ইনশাআল্লাহ। আরো বলেন, এক সময় নিজে অর্ধেক খেয়ে বাকি অর্ধেক একজন ভাসমান মানসিক রোগী কে খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে শাহ পরীর দ্বীপে মারোতের বীজ বপন করি। আজ কালের বিবর্তনে অসংখ্য মানবিক মানুষের সহযোগিতায় সংগঠনটির কার্যক্রম ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তিনি আরো বলেন, মানসিক-ভাসমান রোগীদের আশ্রয়ের মাধ্যমে সেবা প্রদান। মানবতার প্রেমে সকলস্তরের সার্বিক সহযোগিতায় সৃষ্ট ও চলমান এই “সেবা” বৃদ্ধাশ্রম নই। ভাসমান মানসিক রোগীদের স্বজনদের নিকট হস্তান্তর পূর্ব সেবা মাত্র, তিনি আরো বলেন আসুন আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অনন্তপক্ষে একজন মানসিক রোগীকে সেবা দিই‌। এতে আর কোনো মানসিক রোগী অবহেলার শিকার হবে না। এমনকি পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েপড়া মানসিক রোগীদের স্বজন-পরিবারের কাছে তুলেও দিচ্ছেন। সংগঠনটি এই কাজে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

মারোত এর সভাপতি নুরু সওদাগর বলেন মৃত্যু অমোঘ সত্য। সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। কিন্তু মৃত্যু পরবর্তী নিজেকে সমাজে স্মরণীয় করে রাখার জন্য মানুষকে কাজ করতে হবে। কাজের মাধ্যমেই মানুষ বেঁচে থাকবে। মারোতের শুভাকাঙ্ক্ষী শাহ পরীর দ্বীপ বাজার পাড়া নির্বাসিন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আজ যে মহতী আয়োজন করেছেন তাতে একবেলা উন্নত মানের খাবার খেয়ে মানসিক রোগিরা যে আত্মতৃপ্তি পেয়েছে এই স‌ওয়াব স্রষ্টা নিশ্চয়ই কবুল করবেন। তিনি সমাজের বিত্তশালীদেরকে মানসিক রোগিদের কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।