ধর্ম ডেস্ক
বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে মুসলমানদের প্রিয় মাস রমজান। সান্ত্বনার কথা হলো, মাগফিরাত ও ক্ষমার সুযোগ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। অবশিষ্ট সময়গুলো সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর চেষ্টা করাই প্রকৃত মুসলিমের কাজ।
রমজান আসে মুসলমানদের জীবনে পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে, জীবনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর তাগিদ নিয়ে। রমজানে কতটুকু প্রাপ্তির খাতা ভারি করতে পারল তা হিসাব-নিকাশ করা একজন প্রকৃত মুসলিমের জন্য অতীব জরুরি। আল্লাহ বলেন, ‘রমজান মাস হলো সেই মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হিদায়াত ও সত্যপথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্য বিধানকারী।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৫)
রমজানের রোজা হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি ও অহংবোধ ভুলে গিয়ে সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধিশালী সমাজ প্রতিষ্ঠার শিক্ষা দেয়। মানুষকে পার্থিব লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, পরচর্চা, পরনিন্দা, মিথ্যাচার, প্রতারণা, আত্মসংযমের শিক্ষা দেয়। রমজানে বিশেষ ইবাদতের বিধান দেওয়া হয়েছে। যেমন-সিয়াম সাধনা, তারাবি, রোজাদারকে ইফতার করানো, ইতিকাফ, কোরআন তিলাওয়াত, দান-সদকা, সহমর্মিতা প্রকাশ, শবেকদর অন্বেষণ, ওমরাহ পালনসহ বহু ইবাদতের বিধান রয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘মানুষের হিসাব-নিকাশের সময় ঘনিয়ে এসেছে, অথচ তারা এখনও উদাসীনতার মধ্যে বিমুখ হয়ে আছে।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১)
এ বিষয়ে ওমর (রা.)-এর একটি চমৎকার কথা আছে-‘তোমার হিসাব নেওয়ার আগে তুমি নিজেই তোমার হিসাব নিয়ে নাও।’
তাই রমজানের শেষের এই সময় হিসাব-নিকাশের। জীবনে অগ্রযাত্রার জন্য প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির মূল্যায়ন খুবই জরুরি। যদি প্রত্যাশিত প্রাপ্তি না হয়ে থাকে, তাহলে এখনও সুযোগ আছে তাওবা করার, নিজেকে শোধরে নেওয়ার ও অনুতপ্ত হয়ে প্রভুর দরবারে ফিরে আসার। আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা করো, আন্তরিক তাওবা। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কাজগুলো ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদের প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার তলদেশে ঝরনাসমূহ প্রবাহিত। আল্লাহ সেদিন নবী এবং তার বিশ্বাসী সহচরদের অপদস্থ করবেন না। (সূরা তাহরীম, আয়াত-৮)।
আল্লাহ আমাদেরকে তার প্রিয় বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
সিএনএস ডটকম//এসএল//