রাজশাহীতে আ.লীগের সমাবেশ ছিল বিএনপির চেয়ে ১৪ গুণ বড় : তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার:
রাজশাহীতে রোববার আওয়ামী লীগের সমাবেশ বিএনপির চেয়ে ১২ থেকে ১৪ গুণ বড় ছিল বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, ‘আসলে রোববার একটা অসাধারণ সভা হয়েছে। পুরো রাজশাহী শহরই জনসভায় পরিণত হয়েছিল। সভাস্থল মাদ্রাসা মাঠের বাইরে কমপক্ষে ১০-১২ গুণ মানুষ ছিল। বিএনপিও সেখানে সমাবেশ করেছিল। তাদের তুলনায় কতগুণ বড় সেটা অনুমান করা কঠিন। তবে বিএনপির সমাবেশের চেয়ে ১২-১৪গুণ বড় তো বটেই। আকাশ থেকে প্রধানমন্ত্রীও সমাবেশ দেখেছেন। পুরো শহর জুড়ে যে মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা এবং সমাবেশে যাওয়ার জন্য আগ্রহ আমি দেখেছি সেটি অভাবনীয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি, তার দলের প্রতি জনগণের যে বিপুল সমর্থন, এই জনসভায় সেটিই প্রমাণিত হয়েছে।’

 

জাতীয় প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সাথে তথ্যমন্ত্রী

এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ তথ্যমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। মন্ত্রী হাছান তাদের অভিনন্দন জানান এবং বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাব ধারাবাহিকভাবে অত্যন্ত স্বচ্ছ, সুন্দর পরিবেশে, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চার মাধ্যমে নির্বাচন করে আসছে। আমি মনে করি গণতান্ত্রিক চর্চাকে সংহত করা ও সব পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় প্রেসক্লাবের এ নির্বাচন ভূমিকা রাখবে।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের পরিচালনায় সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বৈঠকে সচিবালয়-জাতীয় প্রেসক্লাব সংলগ্ন মেট্রোরেল স্টেশনের নাম ‘জাতীয় প্রেসক্লাব স্টেশন’ রাখা, প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন সংস্কার, জাতীয় প্রেসক্লাবের ২১ তলা ভবন নির্মাণে সহযোগিতা এবং প্রেসক্লাব সাংবাদিক ফান্ডে সহায়তার দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।

তথ্যমন্ত্রী জানান, প্রেসক্লাবের ২১ তলা ভবন নির্মাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে এবং গণমাধ্যমকর্মী আইনের বিষয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাথে তার আলোচনা হয়েছে। মেট্রোরেল স্টেশনের নামকরণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা এবং প্রেসক্লাব ফান্ডকে আরো শক্তিশালী করতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন ড. হাছান মাহমুদ।

জাতীয় প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসান হাফিজ, সহ-সভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা, যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া ও মো: আশরাফ আলী, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, সদস্য ফরিদ হোসেন, কাজী রওনাক হোসেন, শাহনাজ সিদ্দিকী সোমা, কল্যাণ সাহা, শাহনাজ বেগম পলি, সৈয়দ আবদাল আহমদ, জুলহাস আলম, বখতিয়ার রানা, মোহাম্মদ মোমিন হোসেন এবং সীমান্ত খোকন বৈঠকে যোগ দেন।

সিএনএস ডটকম//এসএল//