মোহাম্মদ ইউনুছ অভি: কক্সবাজার জেলার টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপির) মধ্যে আঞ্চলিক কমান্ডার পর্যায়ে দু’দিনের সীমান্ত সম্মেলন বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। সম্মেলনে দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে অনুপ্রবেশ, সন্ত্রাস, মাদক পাচারসহ আটটি বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
সকালে টেকনাফের মহেশখালী পাড়ার সেন্ট্রাল রিসোর্ট হল রুমে দ্বিতীয় ও শেষ দিনের এ সম্মেলন শুরু হয়। এতে বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবির কক্সবাজারের আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব। প্রতিনিধি দলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, বিজিপির ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হটেট লুইনের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশ নেয়। এ প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব জানান, সম্মেলনে অনুপ্রবেশ ঠেকানো, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস দমন, মাদক পাচার, সীমান্ত নিরাপত্তা, তথ্য বিনিময়, সমন্বিত টহল, পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে মিয়ানমারে প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের সীমান্ত চুক্তি ১৯৮০ অনুযায়ী ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বুধবার সম্মেলনে অংশ নিতে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল নৌপথে শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট হয়ে টেকনাফে পৌঁছায়।
তখন বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় বিজিবির একটি সুসজ্জিত দল মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের প্রধানকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে একই প্রক্রিয়ায় ফেরত যান বিজিপির সদস্যরা।