নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন,
কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে ইজারা নিয়ে চাঁদাবাজি ও জাল টাকা ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে। অনেক সময় কৃত্রিম রাসায়নিক দ্রব্য খাইয়ে মোটা তাজাকরণ করা হয়। অনেকে নানাভাবে প্রতারিত হোন।
গ্রামে যারা ঈদ করতে যান তাদের ঢাকায় যে বাসা-বাড়ি আছে। এগুলোর নিরাপত্তায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ যেন নির্বিঘ্নে যাত্রা করতে পারেন কোনো প্রতিবন্ধকতায় পড়তে না হয় সেজন্য র্যাবের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ যাতে ছিনতাইকারি ও মলমপার্টির খপ্পড়ে না পড়েন সেজন্য আমাদের গোয়েন্দা শাখার লোকজন কাজ করছে।
ঈদের সময় মার্কেট,শপিংমল গুলোতে মানুষের ভীড় হয়। সেখানে ছিনতাইকারি ও মলমপার্টির খপ্পড়ে পড়েন। অনেকে কেনাকাটা করতে গিয়ে ইভটিজিং এর শিকার হোন। এই বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে ও কেউ যেন প্রতারণার শিকার না হোন সেজন্য বিভিন্ন লঞ্চ, ফেরি ঘাট, বাস স্টপেজে বিশেষ নজরদারি থাকবে, গোয়েন্দা সদস্যরা সার্বক্ষনিক মনিটরিং করবেন।
এক শ্রেনির ব্যবসায়ী কোরবানির চামড়া মজুদ ও দাম কমিয়ে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছি। এবার যেন নগরবাসী প্রতারিত না হন ন্যায্য মূল্য পান সেজন্য আমরা নজরদারি রাখছি।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও অনলাইনভিত্তিক বিজ্ঞাপন দিয়ে কোরবানির গরু বিক্রি হচ্ছে। অনলাইনে ও বিভিন্ন পেইজে গরু কিনতে গিয়ে কেউ প্রতারিত হলে তারা যেন র্যাব কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করেন। আমাদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
ঈদকে কেন্দ্র করে অনলাইন শপিং কেনাকাটা হয়। ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রতারণার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। যে কেউ অনলাইনে কেনাকাটায় প্রতারিত হলে আমাদের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করলে আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
ঈদের জামায়াতকে কেন্দ্র করে আমরা বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। অতীতে জঙ্গি হামলার ঘটনাও ঘটেছে। আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান আছে।
ঈদে নগরবাসীরা শহর থেকে গ্রামে ঈদ করতে বাড়ি যান। আমরা অনুরোধ করবো কেউ যদি খালি বাসা-বাড়ির নিরাপত্তাহীনতা বোধ করেন আমাদের জানাতে পারেন আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমাদের নজরদারি ও গোয়েন্দা কার্যক্রম অনেক বেশে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ঈদে সামগ্রীক নিরাপত্তায় আমরা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করি। ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো জঙ্গি হামলার শঙ্কা এখনো নেই। তবে যেহেতু শোলাকিয়াসহ ঈদ জামায়াতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।