হুমায়ূন আহমেদকে হারানোর দিন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাণের মহান কারিগর হুমায়ূন আহমেদ চলে যাওয়ার ১১ বছর পূর্ণ হলো বুধবার (১৯ জুলাই)। ২০১২ সালের এদিন সবাইকে কাঁদিয়ে অনন্তের পথে যাত্রা করেন খ্যাতিমান এই লেখক।
ভক্ত-অনুরাগী ও চ্যানেল আইসহ দেশের বিভিন্ন টেলিভিশন নানান আয়োজনে বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় লেখক ও নির্মাতাকে স্মরণের উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষ করে চ্যানেল আইয়ে তার স্মরণে সম্প্রচার হচ্ছে তিন নানান অনুষ্ঠানমালা।
২০১২ সালের ১৯ জুলাই নিয় ইয়র্কের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হুমায়ূন আহমেদ। ২৪ জুলাই চিরনিদ্রায় শায়িত হন তার নিজ হাতে গড়া গাজীপুরের নুহাশপল্লীর লিচুতলায়।
নিউ ইয়র্কের আকাশে সেদিন ছিল না কোন চাঁদ, ছিল না মায়াবতী জোৎস্না। তার চাওয়া চান্নিপসর রাতের বদলে নিউ ইয়র্কে সেদিন ঝকঝকে রোদ, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মতো অশ্রুসিক্ত ছিলো বাংলার রাতের আকাশ।
বাবা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়শা ফয়েজের ঘর আলো করে ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। রসায়ন শাস্ত্রের শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কালজয়ী উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ ও ‘শঙ্খনীল কারাগার’ এর মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে শক্তিশালী এক কথাসাহিত্যিকের আগমনী জানিয়েছিলেন তিনি। তার প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম তিন শতাধিক। গল্প বলার এক নতুন ধারায় তার সব গল্প-উপন্যাসই যেমন জনপ্রিয় তেমনি জনপ্রিয়তা পেয়েছে হিমু, মিসির আলী, বাকের ভাই ও রূপার মতো অসাধারণ সব চরিত্র।
এক সময় সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি মনোনিবেশ করেন চলচ্চিত্র ও নাটক নির্মাণে। কোথাও কেউ নেই, আগুনের পরশমণি, দুই দুয়ারি, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেঁটুপুত্র কমলা তার সৃষ্টিকর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

বাংলা সাহিত্যের পাঠকদের মনে যেমন, তেমনি নুহাশপল্লীর প্রতিটি গাছ, ফুল, পাখি, ঘাসের সঙ্গে মিশে আছেন হুমায়ূন আহমেদ। গভীর শ্রদ্ধায় তাকে স্মরণ করছে চ্যানেল আই পরিবার, যে পরিবারের তিনিও ছিলেন একজন।

//এস//