নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, সংস্কারের পক্ষে যারা অবস্থান নেবে, তাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে পারে এনসিপি।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জে জেলা সমবায় ভবনের নবম তলায় এনসিপির জেলা কার্যালয় উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, এনসিপি ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে গঠিত হয়েছে। সংস্কারের পক্ষে, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির পক্ষে যারা আছে তাদের নিয়ে আমরা জোট গঠন করতে পারি। যারা সংস্কারের বিপক্ষে, সংস্কার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করেছে, চব্বিশের জনআকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তাদের সঙ্গে এনসিপির কোনো নির্বাচনি এলায়েন্স সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, নির্বাচনে এলায়েন্স, গণভোট, দেশের সামগ্রিক স্বার্থে আমরা এনসিপি সব সময় ছাড় দিয়ে এসেছি। আমরা সংস্কারের পক্ষে, জাতীয় ঐকমত্যের পক্ষে সব সময় ছাড় দিয়ে এসেছি। সংস্কার, ঐকমত্যের প্রশ্নে যে দলগুলো আসতে চায় তাদের নিয়ে পরবর্তী নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করব।
তিনি বলেন, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে এসসিপির প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের লকডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে এখন অপ্রাসঙ্গিক। আমাদের সামনের বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে। পেইড কিছু বুদ্ধিজীবী আওয়ামী লীগের পক্ষে বৈধতা উৎপাদন করেছে; কিন্তু বিগত কয়েক মাসের কার্যক্রমে তাদের বোঝা উচিত ছিল আওয়ামী লীগ কখনই গণমানুষের দল ছিল না। আগুন সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও এগুলো কারা করেছিল অতীতে এবং বর্তমানে কারা করছে- এটা মানুষ জানে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের পতন নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়নি। এটি কিন্তু ব্যালটের মাধ্যমে হয়নি যে নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনীতির মাঠে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। এটি ছিল সার্বজনীন মেন্ডেন্ট। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে রাজনৈতিক দলের পতন হয় সেই দলের রাজনীতি করার সুযোগ নেই।
শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, নারায়ণগঞ্জের গডফাদার রাজনীতিতে এই জেলার ইতিহাসকে কলুষিত করেছে। আমরা আর কেউ এ জেলার রাজনীতি কলুষিত করুক তা চাই না।
অনুষ্ঠানে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, জাতীয় যুবশক্তির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন খানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।










Discussion about this post