নিজস্ব প্রতিবেদক
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, কৃষকের পণ্য সরাসরি ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে কৃষিবাজার তৈরির উদ্যোগ নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর বেগুনবাড়িতে ঢাকা শহরের ৫০টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে সাধারণ ভোক্তাদের কাছে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, বন্যাসহ আরও কিছু কারণে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চলছে। সিন্ডিকেট কিংবা ফড়িয়াদের মজুতসহ কারসাজির কারণে বাজারে দ্রব্যমূল্য ও জনদুর্ভোগ বাড়ে। এর বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে থাকবে।
তিনি বলেন, কৃষক থেকে গ্রাহক পর্যায়ে পণ্য পৌঁছানোর কাজ চলছে। যারা এটি করবে তাদেরকে সহায়তা করবে সরকার। এ ছাড়া বিকল্প কৃষিবাজার চালু করার কথাও ভাবা হচ্ছে। যাতে কৃষক সরাসরি পণ্য বিক্রি করতে পারে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বেসরকারিভাবে কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে তা আরও ছড়িয়ে দিতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। এতে সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হবে। আর সিন্ডিকেট ভাঙতে সহায়তা করবে কৃষিবাজার। সবমিলিয়ে দীর্ঘমেয়াদে এই সমস্যা সমাধানে কাজ করবে সরকার।
প্রসঙ্গত, ফ্যামিলি কার্ডধারীদের পাশাপাশি কার্ড ছাড়াও এখন থেকে টিসিবির নির্ধারিত পয়েন্টে ট্রাকের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য কিনতে পারবেন ভোক্তারা। ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির তেল, ডাল ও খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ করা চাল বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এই কার্যক্রম চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে না এলে পরবর্তী সময়ে কার্যক্রম বাড়ানো হতে পারে বলে টিসিবি সূত্রে জানা গেছে।
এ কার্যক্রমের আওতায় সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন উপকারভোগীরা। এ ক্ষেত্রে তাদের প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা ও চাল ৩০ টাকা কেজি দরে কিনতে হবে।
Discussion about this post