নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যম: অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’ শীর্ষক এক কর্মশালা জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই কর্মশালার আয়োজন করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রতিনিয়ত আমরা শিখছি আর শেখার কোনো বিকল্প নেই। প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে। ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মতিউর রহমান চৌধুরী কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
গণ-অঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত হয়েছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। নতুন সময়ের সংবাদ চর্চায় গবেষণামূলক প্রতিবেদন তৈরিতে সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণ গ্রহণের ওপর তিনি জোর দেন তিনি। জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আই-এর প্রধান বার্তা সম্পাদক মীর মাসবুর জামান।
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবোত্তর কালে অনুসন্ধানী রিপোর্টিং গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিয়ামক ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, অনুসন্ধানী সংবাদ উপস্থাপনের ক্ষেত্রে সংবাদের উৎস বারংবার পরীক্ষা- নিরীক্ষা করতে হবে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বলেন, অনুসন্ধানী রিপোর্টিং জনগণের ক্ষমতায়নকেই ত্বরান্বিত করে। তিনি দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা চর্চায় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহকে দেশে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য সাংবাদিকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ আয়োজনের আহ্বান জানান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এনআইএমসির পরিচালক (প্রশিক্ষণ প্রকৌশল) মো. নজরুল ইসলাম, পরিচালক (প্রশাসন ও উন্নয়ন) এ, কে, এম আজিজুল হক । ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান) ড. মারুফ নওয়াজের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী এ কর্মশালায় গণমাধ্যমের ৬০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
Discussion about this post