জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এতে কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (০৭ মে) জাতীয় সংসদ স্বতন্ত্র সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ সব কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তা নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।
এ বছর ৩০ এপ্রিল সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সময়ে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এতে কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। এ ছাড়া অত্যধিক গরম ও দেশের কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ থাকার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন বাড়ানোর ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি, অচিরেই সবাইকে নিরবচ্ছিন্ন ও বিদ্যুৎ সরবোরাহ করতে পারব।
//এস//
Discussion about this post