নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ শুক্রবার (৯ মে) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং সাধারণ নাগরিকরা। এ কর্মসূচির ডাক আসে একটি পূর্বঘোষিত সমাবেশ থেকে, যেখানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সমাবেশে তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলনের এত মাস পরও আমাদের এই লজ্জাজনক সমাবেশ করতে হচ্ছে, এটা প্রমাণ করে, সরকার এখনো বুঝতে পারেনি যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সময়ের দাবি।” তিনি শহীদ ওয়াসিম, নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী এবং আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক স্নিগ্ধর পরিবারের সাথে সরকারের আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, “এই দল ইতিহাসজুড়ে রক্তাক্ত অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। জাসদের ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা, ২০০৬ সালে লগি-বৈঠার নামে গণহত্যা, এবং ২০০৯ সালে বিডিআর ট্র্যাজেডি, সবকিছুতেই আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অধ্যায় ৫ আগস্টেই শেষ হয়ে গেছে। এটিকে নতুন করে ঘাটানো অনুচিত। বিদেশি প্রভাবে পরিচালিত এই সরকার এখন জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে না। শেখ হাসিনা ভারতের স্বার্থে কাজ করছেন, এমন মন্তব্য করে তিনি আওয়ামী লীগকে ‘ভাইরাস’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ‘এই ভাইরাসের’ অস্তিত্ব মুছে না ফেলা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
এর আগে দুপুর ১২টার পর থেকে আন্দোলনকারীরা ‘যমুনা’র সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। কেউ জুমার নামাজ আদায় শেষে সমাবেশে যোগ দেন, কেউ মিছিল নিয়ে হাজির হন। ধীরে ধীরে পুরো শাহবাগ মোড় বিক্ষোভের কেন্দ্রে পরিণত হয়। মঞ্চ থেকে ভেসে আসে গর্জন—
“ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো”,
“আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে”,
“ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর।”
Discussion about this post