নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। ইতোমধ্যেই সড়ক, রেল ও নৌপথে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। কেউ কেউ আগেভাগে ঢাকা ছাড়লেও আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সরকারি ছুটি শুরুর দিনে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ। এখন পর্যন্ত বড় কোনো ভোগান্তির খবর পাওয়া যায়নি।
নগরবাসীর নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জরুরি নম্বরগুলো চালু রয়েছে, এবং জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জন্য।
কমলাপুর রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ১০টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে ৮টি আন্তঃনগর ও ২টি লোকাল ট্রেন। সারাদিনে ৫৪টি ট্রেন ছাড়ার কথা রয়েছে, যার মধ্যে একটি ঈদ স্পেশাল ট্রেনও রয়েছে।
সকালে প্রথম ট্রেন ‘বলাকা এক্সপ্রেস’ ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে যায় পৌনে পাঁচটায়। এবার বেশিরভাগ যাত্রী আগেই অনলাইনে টিকিট কেটে রেখেছেন, তাই প্ল্যাটফর্মে ভিড় থাকলেও কাউন্টারে চাপ তুলনামূলক কম। তবে, অনেকে অনলাইনে টিকিট না পেয়ে স্ট্যান্ডিং টিকিট কিনে ছাদে পর্যন্ত যাত্রা করতে বাধ্য হচ্ছেন।
যদিও ট্রেনের ছাদে উঠতে বাধ্য হওয়ার অভিযোগ রয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের সিডিউল বিপর্যয়ের খবর পাওয়া যায়নি। সময়মতো ট্রেন ছাড়ায় অনেক যাত্রীই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। স্টেশনজুড়ে রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা।
বাস টার্মিনালগুলোতেও যাত্রীর চাপ বেড়েছে। গাবতলী, মহাখালী ও যাত্রাবাড়ী বাস টার্মিনালে সকাল থেকে ভিড় দেখা গেছে। গাড়ি ছাড়ার ক্ষেত্রে কিছুটা বিলম্ব ও আশপাশের এলাকায় যানজট তৈরি হচ্ছে।
অন্যদিকে সদরঘাটেও সকাল থেকে যাত্রীর চাপ বাড়তে শুরু করেছে। আগে থেকে টিকিট কেটে রাখা যাত্রীরা যেমন গন্তব্যে যাচ্ছেন, তেমনি অনেকে তাৎক্ষণিক টিকিট কেটেও রওনা হচ্ছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়ি ফেরা মানুষের পদচারণায় জমে উঠেছে ঘাট এলাকা। নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থাও।
Discussion about this post