নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে কক্সবাজারে সফর করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ শীর্ষ নেতা। সফরের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করতে কক্সবাজারে এসেছেন। যদিও পরে জানা যায়, এই গুজবের কোনো ভিত্তি নেই এবং পিটার হাস বর্তমানে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন।
এই গুজব ও আলোচনা থেকে বিব্রত হয়ে বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে এনসিপি নেতারা কক্সবাজারের সী-পার্ল হোটেল ত্যাগ করেন। পরে তারা কলাতলীর একটি রেস্টুরেন্টে মধ্যাহ্নভোজ শেষে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের ‘প্রাসাদ প্যারাডাইজ’ হোটেলে অবস্থান নেন। স্থানীয় এনসিপি কর্মীরা জানান, নেতারা এখনও ওই হোটেলেই রয়েছেন এবং কিছু স্থানীয় নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন। হোটেল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের ছবি না তুলতে অনুরোধ করেছে।
আওয়ামী লীগের বিচার চলমান, ভোট দিতে পারবে সমর্থকরা: সিইসি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হাসনাত ভাই ও সারজিস ভাইদের সঙ্গে আলাপে তারা গুজব নিয়ে খুবই বিব্রত মনে হয়েছে। সফরটি একান্তই ব্যক্তিগত বলে মনে হয়েছে।’
সফররত পাঁচ নেতা হলেন—মুখ্য সমন্বয়ক নাসীর উদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ এবং তার স্ত্রী ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছে তারা মাইক্রোবাসযোগে উখিয়ার ইনানী এলাকায় যান।
এদিকে, রাজনৈতিক পর্ষদের অনুমতি না নিয়ে সফরে যাওয়ায় এনসিপির পক্ষ থেকে ওই পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দলের যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেনের কাছে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
নোটিশে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নেতাদের ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
Discussion about this post