নিজস্ব প্রতিবেদক
‘নতুন বছর, নতুন বাংলাদেশ’ থিমে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর আকাশে আজ (১৪ এপ্রিল) দেখা যাবে নজরকাড়া ড্রোন শো। চীনা দূতাবাসের সৌজন্যে আয়োজিত এই ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। বিকেল শুরু হওয়া কনসার্ট ও সন্ধ্যা ৭টার ড্রোন শো সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আয়োজিত ড্রোন শো ও কনসার্টে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খালিদুল হক জানান, পুলিশের পাশাপাশি র্যাব নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। কনসার্ট ও ড্রোন শোতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক বলেন, সন্ধ্যায় চীন দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ড্রোন শো প্রদর্শিত হবে। এটি নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্দীপনা রয়েছে। আগ্রহ ও উদ্দীপনা নিয়ে আশা করছি ব্যাপক দর্শক সমাগম হবে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং আনন্দের সঙ্গে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। অতীতের যেকোনো সময়ের রেকর্ড ভেঙে দেবে।
এর আগে, শনিবার সন্ধ্যার আকাশে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সংসদ ভবনের সামনে মহড়াতে দেখা যায় ড্রোন শো আর লেজার রশ্মির মহড়া। এতে ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সালকে ধারণ করা হয়েছে শোটিতে। এখানে স্থান পেয়েছে ২৪-এর বীরেরা।
আছে পায়রার খাঁচা মুক্ত থিম। আবার দেখা যায়, ফিলিস্তিনের জন্য প্রার্থনাও। শুভ কামনা করা হয়েছে বাংলাদেশ-চীন অটুট দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের। এই মহড়া যখন চলে তখন সংসদ ভবনের বাইরে উত্সুক জনতা ভিড় করেন। অনেকেই ধারণ করেছেন সেই ভিডিও, যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, এ ড্রোন শো কেবল বিনোদনের নয়, বরং এটি বর্তমান সময়ের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। প্রযুক্তির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে গণ-আন্দোলন, মানবিক বিপর্যয় এবং আশা-ভবিষ্যতের ইঙ্গিত।
এদিকে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী হ্যালো ঢাকা, প্রস্তুত হও- ‘নতুন বছর, নতুন বাংলাদেশ’ থিমে এক অসাধারণ ড্রোন শো উপভোগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ঢাকাবাসীকে। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে এ আমন্ত্রণ জানান তিনি।
ঢাকাবাসীর উদ্দেশে ফারুকী লিখেছেন, ড্রোন শোয়ের আগে দর্শকদের জন্য থাকছে মনোমুগ্ধকর এক কনসার্ট। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আগামী ১৪ এপ্রিল, বাংলা নববর্ষের দিন বিকেল ৩টায় পুরো আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হবে।
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা লিখেছেন, এ আয়োজনটি ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ সহযোগিতার জন্য চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
সবশেষে তিনি লিখেছেন, বন্ধু-পরিবারসহ সবাইকে আমন্ত্রণ- চলে আসুন, একসঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই।
Discussion about this post