আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে গোপন এক বাঙ্কারে। রাজধানী তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লাভিজানে অবস্থিত ওই বাঙ্কারে অবস্থান করছেন ইরানের রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে ওঠা তার ছেলে মোজতবা খামেনিসহ পুরো পরিবার।
এ অবস্থায় যুদ্ধকালীন ক্ষমতা পেয়েছে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস (আইআরজিসি)। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইতোমধ্যে এলিট এ বাহিনীটির সর্বোচ্চ পরিষদের কাছে এই ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন।
একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে শুক্রবার (২০ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে ইরান ইন্টারন্যাশনাল।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লাভিজানের একটি গোপন বাঙ্কারে সপরিবারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে খামেনিকে। তার সঙ্গে তার প্রভাবশালী ছেলে মোজতবা খামেনিও রয়েছেন।
সম্প্রতি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে লিখেছেন, আমরা জানি তথাকথিত ‘সুপ্রিম লিডার’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ টার্গেট, তবে আপাতত তাকে হত্যা করা হবে না। কিন্তু, আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই না বেসামরিক মানুষ বা আমেরিকান সৈন্যদের দিকে আর কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হোক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষমতা হস্তান্তরের এ পদক্ষেপ একটি সম্ভাব্য ‘প্রি-এম্পটিভ ট্রান্সফার অব অথরিটি’, যার মাধ্যমে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কমান্ড কাঠামো অক্ষুণ্ন রাখা যাবে, যদি খামেনি নিহত হন।
ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতের অষ্টম দিনে উভয়পক্ষ একাধিক হামলা ও পাল্টা হামলায় জড়িয়েছে। ইসরায়েলের একাধিক আক্রমণে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং এর পাল্টা জবাবে ইরানও ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল যদি হামলা অব্যাহত রাখে, তাহলে ইরান আগের চেয়ে আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে।
ইরানি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা সবসময় শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথ অনুসরণ করেছি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্তি কেবল তখনই সম্ভব, যখন জায়নবাদীরা সন্ত্রাসী আগ্রাসন বন্ধ করবে এবং স্থায়ীভাবে তা বন্ধ রাখার গ্যারান্টি দেবে।
Discussion about this post