নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর রামপুরা থানাধীন তালতলা এলাকার আপন কফি হাউজের সামনে তরুণীকে লাঠিপেটা করার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর গ্রেপ্তার দোকানটির দুই কর্মীকে এক দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এই আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া দুজন হলেন—কফি হাউজটির ব্যবস্থাপক আল আমিন এবং কর্মচারী শুভ সূত্রধর।
রামপুরা থানা পুলিশের (নারী ও শিশু সেল) এসআই জাহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার ভিডিও সোমবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিকাল ৩টার দিকে ওই দুইজনকে আটক করা হয়।
ভিডিওতে দেখা গেছে, আপন কফি হাউজের সামনে এক তরুণীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন সেখানকার এক কর্মী। পরে ওই তরুণীর দুই পায়ে দুই দফা লাঠি দিয়ে মারেন এক কর্মচারী। ভিডিওটি ফেইসবুকে শেয়ার করে অনেকেই ঘটনার সমালোচনা করেন এবং জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
ঘটনার ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে পুলিশ তদন্তে নামে। রামপুরা থানার ওসি আতাউর রহমান আকন্দ জানান, ১১ এপ্রিল বিকেলে ঘটনাটি ঘটে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী তরুণীর খোঁজ মেলেনি। পুলিশ বলছে, তাকে বা তার পরিবারের কাউকে পাওয়া না গেলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকেই মামলা করা হবে।
মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইন এবং ৩২৩ ধারায় মামলা করে রামপুরা থানা পুলিশ।
মামলায় বলা হয়েছে, আপন কফি হাউজে ১১ এপ্রিল বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে এই তরুণীর সঙ্গে ‘অসৌজন্যমূলক আচরণসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেওয়া হয়’। বিষয়টি ‘ধামাচাপা’ দেওয়ার জন্য আসামিরা তরুণীকে লাঠি দিয়ে মারধর করে তাড়িয়ে দেন।
এদিন দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার এসআই মো. মহসিন।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানির পর আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইন এবং ৩২৩ ধারায় মামলা করে রামপুরা থানা পুলিশ।
মামলায় বলা হয়েছে, আপন কফি হাউজে ১১ এপ্রিল বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে এই তরুণীর সঙ্গে ‘অসৌজন্যমূলক আচরণসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেওয়া হয়’। বিষয়টি ‘ধামাচাপা’ দেওয়ার জন্য আসামিরা তরুণীকে লাঠি দিয়ে মারধর করে তাড়িয়ে দেন।
এদিন দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার এসআই মো. মহসিন।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানির পর আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
Discussion about this post