আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চাঞ্চল্যকর এক ফোনালাপ ফাঁসের জের ধরে মাত্রই গত সপ্তাহে আদালতের রায়ে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার হারাতে হয় পেতোংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে। মাত্র ৭ দিন যেতেই তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় নতুন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে থাইল্যান্ড।
শুক্রবার (২৯ আগষ্ট) দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতক দল ভূমজাইথাই পার্টির প্রেসিডেন্ট আনুতিন চার্নভিরাকুলকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছেন সংসদ সদস্যরা। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধামন্ত্রী হওয়ার পথে আনুতিন চার্নভিরাকুলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন থাইল্যান্ডের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল পিউ থাই পার্টির জ্যেষ্ঠ ও প্রভাবশালী নেতা চিকাসেম নিতিসিরি। তবে, সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপি আনুতিনের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন।
থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের মোট আসনসংখ্যা ৪৯২। বিজয়ের জন্য কমপক্ষে ২৪৭ জন এমপির ভোট পাওয়া জরুরি ছিল ৫৮ বছর বয়সী আনুতিনের জন্য। ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আনুতিনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩১১ জন এমপি।
নৈতিকতা লঙ্ঘণের অভিযোগে গত ২৯ আগস্ট থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালতের রায়ে ক্ষমতা হারান সাবেক প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা, যিনি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মাত্র এক বছরের মাথায় পদচ্যুত হন পায়েতংতার্ন।
Discussion about this post