আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লাহোরে মানাওয়ান এলাকায় ভারতীয় নজরদারি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) জিও নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করার পরপরই ড্রোনটির গতিবিধি শনাক্ত করে সেটিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে গুলি করে ভূপাতিত করে নিরাপত্তা বাহিনী। ড্রোনটিতে কোনো বিস্ফোরক না থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, এটি নজরদারি কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছিল।
গত ১০ মে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কয়েকদিনব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটে। বর্তমানে সীমান্তে তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করলেও, পাকিস্তানের আকাশে ভারতীয় ড্রোন ওড়ার খবরে ফের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, এটি ভারতের একটি নজরদারি ড্রোন। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
এদিকে ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাতে ইসরাইলি অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, যুদ্ধে ভারতীয় সেনারা ইসরাইলের তৈরি হারফি ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করেছে এবং এসব অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে সফল প্রমাণিত হয়েছে।
সংঘাত থেমে গেলেও দুই দেশের মধ্যে বাকযুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দেওয়ার পর পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পাল্টা হুঁশিয়ারি এসেছে।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগের প্রধান লেফটন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ভবিষ্যতে ভারত যদি কোনো আগ্রাসন চালায়, তাহলে পাকিস্তান ভারতের বাণিজ্যিক অঞ্চলে পাল্টা হামলা চালাবে। তিনি মূলত কলকাতা, জামশেদপুর, রাঁচি—এই অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্রগুলোকেই টার্গেট করার বার্তা দেন।
অন্যদিকে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বন্ধে আবারও নিজেদের মধ্যস্থতাকারী ভূমিকার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এমন মন্তব্য করেন। তিনি এই সময় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘প্রেসিডেন্ট অব পিস’ বলেও অভিহিত করেন। তবে এখনো পর্যন্ত ভারত, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত নিরসনে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা মেনে নিতে নারাজ।
Discussion about this post