আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনে ঐতিহাসিক ইব্রাহিমি মসজিদ মুসলিমদের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে পুরোনো শহরজুড়ে আরোপ করা হয়েছে কড়া কারফিউ। মূলত অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের ইহুদি উৎসব পালনের সুযোগ দিতেই এই পদক্ষেপ। শনিবার(১৬ নভেম্বর) রাতে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এই তথ্য জানায়।
স্থানীয় কর্মীরা জানান, অবৈধ ইসরায়েলি বসতকারীদের ধর্মীয় উৎসব পালনের সুযোগ করে দিতে ইব্রাহিমি মসজিদটি মুসলিমদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হেবরন ডিফেন্স কমিটির সদস্য আরেফ জাবের আনাদোলুকে জানান, শুক্রবার সকাল থেকেই পুরোনো শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই কারফিউ জারি রয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী পুরোনো শহরে প্রবেশের পথগুলো বন্ধ করে দিয়েছে এবং যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে। এর ফলে অনেক ফিলিস্তিনি বাসিন্দা নিজ ঘরেও ফিরতে পারেননি এবং হেবরনের অন্য এলাকায় স্বজনদের বাড়িতে রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছেন।
জাবের জানান, শুক্রবার রাত ও শনিবার সকাল— দুই দফায় শত শত অবৈধ বসতকারী ভারী সামরিক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুরোনো শহরে ঢুকে রাস্তায় উসকানিমূলক শোভাযাত্রা করেছে। তিনি বলেন, এই কারফিউ আসলে ইব্রাহিমি মসজিদের বাকি অংশ পুরোপুরি দখলে নেওয়ার এবং সেটিকে সিনাগগে রূপান্তরের ইসরায়েলি প্রচেষ্টার অংশ।
হেবরনের পুরোনো শহরে অবস্থিত ইব্রাহিমি মসজিদটি এখন পুরোপুরি ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে। ১৯৯৪ সালে এক অবৈধ বসতকারীর হাতে ২৯ জন ফিলিস্তিনি মুসল্লি নিহত হওয়ার পর ইসরায়েল মসজিদটিকে দুই ভাগে ভাগ করে: ৬৩ শতাংশ ইহুদিদের উপাসনার জন্য এবং ৩৭ শতাংশ মুসলিমদের জন্য। ইহুদিদের বরাদ্দ অংশে মসজিদের আজান দেওয়ার ঘরটিও রয়েছে।
ফিলিস্তিনি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ২০২৫ সালের শুরু থেকে প্রায় প্রতিদিনই ইব্রাহিমি মসজিদের সুক গেট এবং পূর্ব দিকের প্রধান গেট বন্ধ রাখছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মুসলিমদের জন্য নির্ধারিত পূর্ণ প্রবেশাধিকার আর বহাল রাখা হয়নি।










Discussion about this post