নিজস্ব প্রতিবেদক
শিশুদের আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, নৃত্য, সঙ্গীত, জাদু, মূকাভিনয় ও দেশবরেণ্য আবৃত্তিশিল্পীদের আবৃত্তিতে আনন্দমুখর পরিবেশে বিজয় উৎসব করল বাংলাদেশ আবৃত্তি ফেডারেশন।
১৬ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে দুপুর ২টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলে এই আয়োজন।
মঙ্গলবার দুপুরে শিশু-কিশোরদের আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের কবিতা আবৃত্তি করে একাত্তরের উত্তাল দিনগুলো স্মরণ করেছেন শিশুশিল্পীরা।
পরে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আয়োজন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী হাসান।
এরপর চিত্রাঙ্কন আর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের স্বারক ও সনদপত্র প্রদান করেন প্রতিযোগিতার বিচারকেরা।
আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা হলেন রুহানী বর্ণিল, হুমায়রা তাশফিয়া, সাহেরা হোসেন তাইফা, মোহসিনা হক, শরীফ ইবতিহাজ ইসলাম ও আফরা মেহনাজ মহসীন।

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা হলেন-
ঋষিত শীল ধৃতি, ফারহিন মাহবুব নিলয়, রাফিন ইসলাম, ফাইজান রশীদ, আরিশা হোসেন ও জারিন সাবা।
আবৃত্তি প্রতিযোগীতার বিচারকের আসনে ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী মেহেদী হাসান,শামসুদ্দোহা পাটোয়ারী, মাহমুদুল হাসান এবং অনন্যা মাহমুদ। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন চিত্রশিল্পী রফিক উল্ল্যাহ, শিল্পী নাছির উদ্দীন আহমেদ খান, শরীফ আহমেদ ও মাহজাবিন মিতি।
মাগরিবের পর হাজারো দর্শকদের ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে। সবাই ব্যাপক আনন্দমুখর পরিবেশে উপভোগ করে বিজয় উৎসব। বিজয় উৎসবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী গোলাম হায়দার ও ইউসুফ আলী।
হাওয়াইন গীটার কম্পোজিশন পরিবেশন করেন দেশবরেণ্য গিটারিস্ট ফরহাদ আজিজ।বিশেষ মুকাভিনয় “প্রতিবাদী কৃষক” পরিবেশন করেন মোঃ শামীম শেখ। জাদু প্রদর্শন করেন জাদুশিল্পী সাদাত মামুন। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী সোহেল রহমান, নান্দনিক নৃত্য সংগঠন, বাংলাদেশ নৃত্যরঙ একাডেমী, সুকন্যা নৃত্যাঙ্গন ও জলনূপুর নৃত্যালয়। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে স্বরাঙ্গন।
একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন মেহেদী হাসান, সামছুদ্দোহা পাটোয়ারি, রইস উল হাসান, অনন্যা মাহমুদ, তাহসিন রেজা, মুরাদ শাহ, আব্দুর রহমান তিতুমীর, মাহজাবিন মিতি, আঞ্জুমান লায়লা নওশিন, ফাহমিদা সূচনা, অনন্যা গোস্বামী, শহীদুল্লাহ কায়সার, কামরুজ্জামান, ইশরাত ঝিমি, শেখ সাদী মারজান, রুপা, নীলসহ অনেকে।










Discussion about this post