আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ব্রিটেনের ১৭০ বছরের পুরোনো সংবাদপত্র ডেইলি টেলিগ্রাফের মালিকানা পরিবর্তন হতে চলেছে। আমেরিকার বিনিয়োগ সংস্থা রেডবার্ড ক্যাপিটাল পার্টনার্স (২৩ মে) ঘোষণা করেছে, তারা টেলিগ্রাফ মিডিয়া গ্রুপের মালিকানা কিনতে ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৬৭৫ মিলিয়ন ডলার) মূল্যের একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ চুক্তি দীর্ঘদিনের মালিকানা বিতর্কের নতুন মোড়।
এর আগে ২০২৪ সালে রেডবার্ড ক্যাপিটাল আবুধাবির রাজপরিবারের সদস্য শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের অর্থায়নে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া ইনভেস্টমেন্টস (আইএমআই) ফার্মের সঙ্গে ‘রেডবার্ড-আইএমআই’ নামে টেলিগ্রাফের মালিকানা কিনতে চেয়েছিল।
সে সময় ব্রিটিশ সরকার বিদেশি রাষ্ট্রের মালিকানায় সংবাদপত্র কেনা নিষিদ্ধ করার আইন পাস করায় এ চুক্তি ব্যর্থ হয়। বর্তমানে লেবার পার্টির সরকার এ আইন শিথিল করে বিদেশি রাষ্ট্রকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ারের অনুমতি দেওয়ায় রেডবার্ড নতুনভাবে এ চুক্তি করেছে। তবে আবুধাবির রাজপরিবারের সদস্য শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের আইএমআই অল্প শেয়ারে মালিকানায় থাকবে।
ডেইলি টেলিগ্রাফ, জনপ্রিয়তার জন্য ‘টোরিগ্রাফ’ নামেও পরিচিত, এটি ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির ঘনিষ্ঠ সংবাদপত্র হিসেবে পরিচিত। ২০২৩ সালে রেডবার্ড-আইএমআই বার্কলি পরিবারের ঋণ পরিশোধ করে টেলিগ্রাফ ও স্পেকটেটর ম্যাগাজিনের মালিকানা নেয়।
বিদেশি মালিকানা নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্কের পর গত বছর স্পেকটেটরকে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডে ব্রিটিশ হেজ ফান্ড বিনিয়োগকারী পল মার্শালের কাছে বিক্রি করে দেয় রেডবার্ড-আইএমআই।
১১ বছর বয়সী রেডবার্ড একটি সুপরিচিত গণমাধ্যম বিনিয়োগকারী সংস্থা, যার মালিকানায় রয়েছে স্কাইডান্স মিডিয়া, ফেনওয়ে স্পোর্টস গ্রুপ (বোস্টন রেড সক্স ও লিভারপুল এফসি) এবং নিউইয়র্ক ইয়াঙ্কিসের স্পোর্টস নেটওয়ার্ক।
সামাজিক মাধ্যম এক্সের একটি পোস্টে রেডবার্ড কর্তৃপক্ষ বলেছে, এ চুক্তি টেলিগ্রাফের দুই বছরের মালিকানা অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়েছে।
রেডবার্ডের প্রতিষ্ঠাতা জেরি কার্ডিনালে বলেন, ‘মালিকানা পরিবর্তন টেলিগ্রাফের জন্য নতুন যুগের সূচনা করবে। আমরা এর প্রযুক্তি, গ্রাহকসংখ্যা ও বৈশ্বিকভাবে এর উপস্থিতি, বিশেষ করে আমেরিকায় এর প্রসার বাড়াতে চাই।’ তিনি জানান, রেডবার্ড টেলিগ্রাফের ডিজিটাল কার্যক্রম সম্প্রসারণেরও পরিকল্পনা করছে।
Discussion about this post