নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি মাঝারি থেকে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয়ের আওতায় প্রবেশ করায় বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)। এ ছাড়া দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ এলাকায় আগামী কিছুদিন বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও বিডব্লিউওটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বিডব্লিউওটি জানায়, চলতি বছরের দ্বিতীয় ক্রান্তীয় বৃষ্টিবলয় এটি। যা আজ (১০ এপ্রিল) এবং আগামীকাল চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহ বিভাগে বেশি সক্রিয় হতে পারে। এ ছাড়া ১৪ এপ্রিল থেকে দেশের অনেক এলাকায় সক্রিয় হতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকবে সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে। মাঝারি ধরনের সক্রিয় থাকবে রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে এবং কম সক্রিয় থাকবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু অংশে।
আজ ১০ এপ্রিল থেকে আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে এই বৃষ্টিবলয়। এই ১৩ দিনের বৃষ্টিবলয়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত হতে পারে। বৃষ্টিবলয়টি আজ উত্তরবঙ্গ, রংপুর বিভাগ ও কক্সবাজার হয়ে দেশে প্রবেশ করতে পারে এবং ২২ এপ্রিল সিলেট হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে। এ বলয় চলাকালে দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকায় পানি সেচের চাহিদা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ছাড়া বৃষ্টিবলয় চলাকালে দেশের আকাশ অধিকাংশ এলাকায় আংশিক মেঘলা থাকতে পারে এবং অধিক সক্রিয় এলাকায় মেঘলা থাকতে পারে। এই সময়ে অধিকাংশ বৃষ্টিপাত হতে পারে আকস্মিকভাবে ও স্বল্পস্থায়ীভাবে। হঠাৎ উত্তর-পশ্চিমে কালো মেঘ প্রচণ্ড দমকা হাওয়া, তারপর বজ্রসহ বৃষ্টি। এরপর আবহাওয়া পরিষ্কার হতে পারে।
বৃষ্টিবলয়ের এই সময়ে ঢাকায় ৫০ থেকে ৭০ মিলিমিটার, খুলনা বিভাগে ২০ থেকে ৩০ মিলিমিটার, বরিশাল বিভাগে ২০ থেকে ৩৫ মিলিমিটার, সিলেটে ৯০ থেকে ১৩০ মিলিমিটার, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫০ থেকে ৭০ মিলিমিটার, রাজশাহী বিভাগে ৩০ থেকে ৪৫ মিলিমিটার, রংপুরে ৬০ থেকে ৯০ মিলিমিটার ও চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ থেকে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এ ছাড়া বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু এলাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ চলতে পারে। একই সঙ্গে বৃষ্টিবলয়ের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে।
Discussion about this post