আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন অভিবাসী ভিসা প্রকল্প এইচ-ওয়ান বি এবং গ্রিনকার্ড নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে শিগগিরই। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় লুটনিক বলেন, বর্তমান এইচ-ওয়ান বি ভিসা ব্যবস্থাটি খুবই বাজে। কারণ, এই ভিসা ব্যবস্থা মার্কিন কর্মীদের তুলনায় বিদেম থেকে আসা কর্মীদের বেশি সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি বড় প্রতিষ্ঠান এতদিন বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দিয়ে এসেছে। এখন তাদের সময় এসেছে মার্কিন কর্মীদের নিয়োগ দেওয়ার।
পরে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এইচ-ওয়ান বি ভিসানীতি এবং গ্রিনকার্ড ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে এবং আমি নিজে এর সঙ্গে যুক্ত আছি। বর্তমানে এইচ-ওয়ান বি নামের যে ভিসা প্রকল্প আমাদের দেশে চালু আছে, তা এক কথায় ভয়াবহ। আমরা গ্রিনকার্ড ব্যবস্থাতেও পরিবর্তন আনছি। বর্তমানে একজন মার্কিনীর বাৎসরিক গড় আয় ৭৫ হাজার ডলার, অন্যদিকে গ্রিনকার্ডধারী একজন বিদেশি কর্মীর বাৎসরিক গড় আয় ৬৬ হাজার ডলার।
লুটনিক আরও বলেন, আমরা এই ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চাই। কেন চাই?— কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এটি পরিবর্তন করতে বলেছেন। আমাদের নতুন ব্যবস্থা হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সোনার কার্ডের মতো। আমরা চাই বিভিন্ন দেশের সেরা এবং সবচেয়ে মেধাবী লোকজন যুক্তরাষ্ট্রে আসুক।
এইচ-ওয়ান বি ভিসায় কী ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে; এ প্রশ্নের উত্তরে লুটনিক বলেন, বর্তমানে আবেদনকারীদের এইচ-১বি ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে যে লটারি ব্যবস্থা রয়েছে, তা বাতিল করে উচ্চ আয়ের আবেদনাকরীদের অগ্রাধিকার দিতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন। সেই সঙ্গে এইচ-ওয়ান বি ভিসাকে মজুরিভিত্তিক ভিসা ব্যবস্থায় রূপান্তর করার পরিকল্পনাও রয়েছে প্রশাসনের।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, কোনো অভিবাসী যদি গ্রিনকার্ডের জন্য আবেদন করেন, তাহলে তাকে অবশ্যই এইচ-ওয়ান বি ভিসাধারী হতে হবে।
ট্রাম্প প্রশাসন যদি ভিসানীতিতে পরিবর্তন আনে, তাহলে তার একটি বড় প্রভাব পড়বে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসীদের ওপর।
Discussion about this post