নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দুটি চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ চিঠি পাঠানো হবে। দুটি চিঠির একটি পাঠাবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (৬ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের একটি বিশেষ বৈঠকের পরে এ তথ্য জানান তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, দুটি চিঠির মধ্যে অপর চিঠিটি বাণিজ্য উপদেষ্টা বশির উদ্দিন পাঠাবেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির অফিসে (ইউএসটিআর)। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অন্তত আরও ৩ মাস যেন আগের মতোই ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে পণ্য রপ্তানি করা যায়, তার অনুরোধ জানানো হবে চিঠিতে।
তিনি বলেন, চিঠিতে বাংলাদেশ সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি সহজ করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে ও নেবে এবং বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ সহজ করার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তার কৌশলগুলো তুলে ধরা হবে।
তিনি আরও বলেন, চিঠিতে যাই থাকুক সেটা আমাদের বিজনেস-বান্ধব হবে। আমাদের বাংলাদেশের বিজনেসের স্বার্থটা দেখা হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে কম্পিটিটিভ যেসব কান্ট্রি আছে তাদের চেয়ে আমরা আরো বিজনেস-বান্ধব হবো, এই চিঠিটা হবে। আরো বেশি বিজনেস-বান্ধব হবে, যাতে করে ইউএসএ এবং আমাদের জন্য উইন-উইন সিচুয়েশন হয় এবং আমাদের জন্য মার্কেট এক্সেসটা যেন আরও বাড়ে।
উচ্চপর্যায়ের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন-ওই বৈঠকে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার হাই-রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিনিয়োগ বোর্ডের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রুবানা হক, ফারুক হাসান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তপন চৌধুরী, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সরকারের উদ্যোগে তারা সন্তুষ্ট। সরকার যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতির পরিপ্রেক্ষিতে যে কর্ম কৌশল নিচ্ছে তাতে একটি লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে। আজকের বৈঠকের আলোচনায় পথনির্দেশনা পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা, যেটি ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর।
Discussion about this post