প্রবাস ডেস্ক
বিশাল এক ডিজিটাল প্রতারক চক্রের সন্ধান পেয়েছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। চক্রটিকে দমনে দেশব্যাপী বড় পরিসরে দুটি অভিযানও চালিয়েছে তারা। এই দুই অভিযানে প্রতারণা চক্রে জড়িত প্রায় দুই হাজার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে বাংলাদেশি ও ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকও আছেন বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার বাণিজ্যিক অপরাধ তদন্ত বিভাগের (জেএসজেকে) পরিচালক দাতুক রুসদি মোহাম্মদ ইসা।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়ার জাতীয় সংবাদসংস্থা বারনামা।
প্রতিবেদনে অনুযায়ী, ২২ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটি অভিযান চালানো হয় মানি লন্ডারিং ও প্রতারণামূলক কার্যক্রমের অর্থ আদান-প্রদানে ব্যবহৃত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনার বিরুদ্ধে। এ ধরনের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে জড়িত ১ হাজার ৩০৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই অভিযানে।
এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে সারাওয়া রাজ্য থেকে। এছাড়া, সাবাহ রাজ্য থেকে ২০০, কুয়ালালামপুর থেকে ১৩৭ ও সেলেঙ্গর রাজ্য থেকে ১১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অন্যান্য রাজ্য থেকে।
এছাড়া, ই-কমার্স জালিয়াতি দমনে আরেকটি বড় অভিযান চালানো ২ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ই-কমার্স প্রতারণায় ৫৪.১ মিলিয়ন রিঙ্গিতের ক্ষতি হয়েছে, যা দেশজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
বুকিত আমান বাণিজ্যিক অপরাধ তদন্ত বিভাগের (জেএসজেকে) পরিচালক দাতুক রুসদি মোহাম্মদ ইসা জানান, এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল ই-কমার্সভিত্তিক অনলাইন প্রতারণা রোধ করা। এতে প্রতারণায় জড়িত সিন্ডিকেট সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়, যারা প্রতারণার অর্থ লেনদেনে ব্যবহৃত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা, এটিএম কার্ড সরবরাহ ও টাকা উত্তোলনের মতো বেআইনি কার্যক্রম জড়িত ছিল।
দেশব্যাপী জালিয়াতিমূলক কার্যকলাপের জন্য কল সেন্টার পরিচালনার অভিযোগে আরও ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়া পুলিশ। গ্রেপ্তার ৭৯০ জনের মধ্যে ৪৭৫ জন পুরুষ এবং ৩১৫ জন মহিলা। এদের মধ্যে কয়েকজন ইন্দোনেশিয়ান এবং বাংলাদেশি নাগরিকও আছেন।
 
			 
                                









Discussion about this post