ক্রীড়া প্রতিবিদক :
পল্টন শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম. মনসুর আলী স্টেডিয়ামে শনিবার শুরু হচ্ছে রুচি ৩৬তম জাতীয় নারী হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা। এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে সার্ভিসেস সংস্থা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা মিলিয়ে ১৯টি দল। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে দুই পর্বে। প্রথম পর্বের খেলাগুলো হবে ১৬ আগষ্ট। যেখানে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে ১০টি দল।
প্রথম পর্বে খেলবে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, ফরিদপুর, বরগুনা, শেরপুর, কক্সবাজার, বাংলাদেশ পুলিশ, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও দিনাজপুর।
দ্বিতীয় পর্বের খেলাগুলো শুরু ২০ আগষ্ট। এই পর্বে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে ৯ টি দল। দ্বিতীয় পর্বের দলগুলো হচ্ছে জামালপুর, নওগাঁ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পঞ্চগড়, নড়াইল, যশোর, ঢাকা, বগুড়া ও গোপালগঞ্জ।
দুই পর্বের চারটি গ্রুপের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলগুলো নিয়ে ২৪ আগষ্ট হবে সেমিফাইনাল। ফাইনাল ২৫ আগষ্ট।
জাতীয় নারী হ্যান্ডবলে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন দলকে দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার। এছাড়া রানার্সআপ দল ১৫ হাজার, ৩য় স্থান অর্জনকারী দল ১০ হাজার টাকা পাবে। এর বাইরে প্রথম ৮টি দলকে উৎসাহ ভাতা হিসেবে দেওয়া হবে ১০ হাজার করে টাকা। এছাড়া সেরা খেলোয়াড় পাবেন ট্রফির পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা। এছাড়াও প্রথমবারের মত প্রতি দলের ১৪ জন করে খেলোয়াড়কে ম্যাচ প্রতি ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
আগামী শনিবার খেলা শুরু হলেও প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে ১৭ আগষ্ট। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মো: মাহবুব-উল-আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক মো: আলী হোসেন ফকির এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের মার্কেটিং ম্যানেজার মো: শাহরিয়ার আলম।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এবারের প্রতিযোগিতা থেকে আসন্ন এসএ গেমসের জন্য খেলোয়াড় বাছাই করা হবে বলেন জানালেন বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজন ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, “এর আগে জাতীয় পুরুষ হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা থেকে অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড় বাছাই করেছি। ওই সময় সিলেকশন করা সহজ হয়েছে। এবার নারী হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা থেকেও এসএ গেমসের জন্য খেলোয়াড় সিলেকশন করতে পারব।”
ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক ও জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজন ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য-সচিব রাশিদা আফজালুন নেসা বলেন, “আমাদের এই প্রতিযোগিতা তারুণ্যের উৎসবের অধীনে হচ্ছে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনা রয়েছে। আরেকটি কথা বলব নারীদের খেলাধুলায় অনেক সমস্যা থাকে। সে সব সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার পর বেশ কয়েকবার তারিখ পিছিয়ে শেষ পর্যন্ত এটা শুরু করতে পারছি। অংশ নেওয়া জেলা দলগুলোকে এজন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ সব জেলায় অ্যাডহক কমিটি। যেখানে মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কোনও কার্যক্রম নেই। যে কারণে দলগুলোকে খুঁজে বের করতে ও এখানে আনতে বেশ কষ্ট হয়েছে। বেশ কয়েক দফা চিঠি আদান প্রদান করে দলগুলোকে এক জায়গায় আনতে পেরেছি।”
সাধারণ সম্পাদক মো: সালাউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, “আমরা এসএ গেমসকে সামনে রেখে ক্যাম্প শুরু করেছি। সর্বশেষ এসএ গেমসের চেয়ে পদকের মঞ্চে এক ধাপ উন্নতি করতে চাই।”
পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের মার্কেটিং ম্যানেজার মো: শাহরিয়ার আলম বলেন, “রুচি দেশের তরুণ প্রজন্মের প্রাণের ব্র্যান্ড হিসেবে সর্বদা ইতিবাচক উদ্যোগ ও সামাজিক উন্নয়নে পাশে থেকেছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের সম্ভাবনা বিকাশে রুচি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এবং এই উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন ধরে নানা ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রয়েছে। ৩৬তম জাতীয় নারী হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতা করে রুচি আবারও প্রমাণ করলো যে তারা শুধু মানসম্মত পণ্য উৎপাদনেই নয়, বরং সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীদের অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। রুচি সামনের দিনগুলোতেও এ ধরনের আরও কার্যক্রম ও আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চায় এবং বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানায় এমন সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আমরা হ্যান্ডবলের সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সদস্য ও যুগ্ম সদস্য-সচিব মো: মকবুল হোসেন।
Discussion about this post