প্রযুক্তি ডেস্ক:
নতুন স্মার্টফোন কেনার সময় অনেকেই বিভ্রান্ত হন—র্যাম (RAM) বেশি হলে ভালো, না রম (ROM)? ফোনের স্পেসিফিকেশন দেখে অনেক সময়ই বুঝতে কষ্ট হয় কোনটা কেমন পারফরম্যান্স দেবে। অথচ এই দুটি শব্দের পার্থক্য, গুরুত্ব এবং ব্যবহার জানলেই আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
র্যাম ও রম—কী পার্থক্য?
র্যাম (RAM) কী?
RAM মানে Random Access Memory। এটি হলো আপনার ফোনের মেমোরি যা ফোন চালু থাকাকালীন সব অ্যাপ, গেম এবং সিস্টেম প্রসেস সাময়িকভাবে চালায়। র্যাম বেশি হলে:
একসঙ্গে বেশি অ্যাপ চালানো যায়
ফোন ধীরগতি হয় না
মাল্টিটাস্কিং ভালো চলে
রম (ROM) কী?
ROM মানে Read Only Memory, তবে মোবাইলে ROM বলতে মূলত বোঝানো হয় স্টোরেজ স্পেস—যেখানে আপনার ছবি, ভিডিও, অ্যাপস, গেমস ও ডকুমেন্ট থাকে।
রম বেশি হলে বেশি ফাইল সংরক্ষণ করতে পারবেন
গেম ও মিডিয়া চালাতে সুবিধা
সিস্টেম আপডেটের জন্য জায়গা থাকে
কোনটা আগে দেখা জরুরি?
আপনি যদি হালকা ব্যবহারকারী হন:
যেমন- Facebook, WhatsApp, YouTube, ব্রাউজিং
৪–৬জিবি র্যাম + ৬৪–১২৮ জিবি রম যথেষ্ট
আপনি যদি গেম খেলা, ভিডিও এডিটিং বা হেভি ব্যবহার করেন:
৮ জিবি বা তার বেশি র্যাম
১২৮ জিবি বা তার বেশি রম প্রয়োজন হতে পারে
যদি ভিডিও, 4K কনটেন্ট, বড় গেম রাখেন—তাহলে অবশ্যই বেশি রম দরকার
র্যাম বেশি না হলে কী হয়?
অ্যাপ ধীরে খোলে
হ্যাং করে
ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিস্টার্ট হয়
রম কম হলে কী হয়?
‘Storage full’ দেখায়
নতুন অ্যাপ ইনস্টল করা যায় না
আপডেট বন্ধ হয়ে যায়
আজকাল ফোনে কি বেশি দরকার?
বর্তমানে অ্যানড্রয়েড ১৩/১৪ ভার্সন এবং উন্নত অ্যাপগুলোর জন্য ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রমকে স্ট্যান্ডার্ড ধরা হচ্ছে। পাশাপাশি যদি ফোনে মাইক্রোএসডি কার্ড সাপোর্ট না থাকে, তবে বেশি রম অপরিহার্য।
স্মার্টফোন কেনার সময় শুধুমাত্র র্যাম বা রম দেখে সিদ্ধান্ত নয়—আপনার ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী সঠিক ব্যালেন্স খুঁজে নেওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি বেশি গেম খেলেন বা ভিডিও এডিট করেন, তাহলে র্যাম ও রম—দুটোই বেশি দরকার। তবে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য ৬ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি রমসহ একটি ফোনই যথেষ্ট।
Discussion about this post