নিজস্ব প্রতিবেদক:
পতিত হাসিনা সরকারের আমলে দেশে নজরদারির সরঞ্জাম ক্রয় করার বিষয় খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশের মানুষের নাগরিক অধিকার হরণের জন্য নজরদারির যন্ত্রপাতি, স্পাইওয়ার ব্যবহার করেছে। এই অবৈধ নজরদারি করার জন্য আমার-আপনার ন্যূনতম বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সংবিধানে যে গোপনীয়তার অধিকার দেওয়া হয়েছে সেটাকে তারা খর্ব করেছে।
পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় একটি তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, কত টাকা দিয়ে, কোথা থেকে এসব সরঞ্জাম কেনা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। যদিও রিপোর্টে বলা হয়েছে— অনেক কিছু ইসরায়েল থেকে কেনা হয়েছে। এই পুরো বিষয়গুলো কমিটি খতিয়ে দেখবে।
তিনি বলেন, পুলিশের জন্য কীভাবে মারণাস্ত্র কেনা হয়েছিল এটা নিয়েও রিপোর্ট হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। কীভাবে এগুলো কেনা হয়, কীভাবে ব্যবহার করা হয় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চলমান সংস্কারের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, গত সপ্তাহে আমরা বলেছিলাম- সংস্কার কমিশনগুলোর ১২১টি সুপারিশ বাস্তবায়নাধীন আছে। তারমধ্যে ১৬টি ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে এবং ১৪টি আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে এবং বাকিগুলো বাস্তবায়নাধীন আছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে জানানো হয়েছে আরও ২৪৬টি আশু করণীয় সংস্কার সুপারিশ এসেছে। এগুলো বাস্তবায়নাধীন বলে উপদেষ্টা পরিষদে জানানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি সুপারিশের কথা জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ইতোমধ্যে ৩৭টি বাস্তবায়ন হয়েছে। সুপারিশগুলোর মধ্যে ৮২টি হচ্ছে শ্রম বিষয়ে।
Discussion about this post