আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কলকাতা-চট্টগ্রাম দখলের হুমকি-পাল্টা হুমকি ও বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা ফেরৎ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি নেতাদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা বসে ললিপপ খাব না।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিধানসভায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা ফেরৎ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভীর মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যারা বলছেন বাংলা-বিহার-ওড়িষ্যা দখল করবেন, তারা ভাল থাকবেন। আপনার সেই ক্ষমতাও নেই, আর ভাববার কোনো কারণ নেই যে আমরা বসে ললিপপ খাব। আমরা যথেষ্ট সক্রিয় এবং যথেষ্ট ধৈর্যের পরীক্ষা দিই। আমরা সবাই সবাইকে রক্ষা করব।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গোটা বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকার দেখছে এবং তারাই ব্যবস্থা নেবে। আমরা কোনও পক্ষে নেই। আমরা সব পক্ষে। আজ বিদেশ সচিব (বাংলাদেশে) যাচ্ছেন। দেখা যাক কী হয়। আমাদের নীতি হল আমরা কূটনীতি মেনে চলব।
বাংলাদেশিদের তুলোধোনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, আমরা অখণ্ড ভারতবর্ষের নাগরিক, বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই। তবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হচ্ছে, তা দুঃখজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমের একাংশের সমালোচনা ও পরোক্ষভাবে বিজেপিকে নিশানা করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েকটা মিডিয়া যা করছে তা যথাযথ নয়। এটা উত্তরপ্রদেশ নয় যে আপনাদের ব্যান করব। কিন্তু অনুরোধ করছি স্বাভাবিক থাকুন। আর কিছু ফেক ভিডিও ভাইরাল করা হচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল করছে। তাদের বলতে চাই সব কিছু নিয়ে রাজনীতি করবেন না।
এর আগে সম্প্রতি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য শান্তি বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সাবেক সদস্য মিনাজ প্রধান বলেছিলেন ৪ দিনে কলকাতা দখল করে নেবো।
অন্যদিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন চট্টগ্রাম দখলে নিলে (যদিও ভারত সেই দাবি করেনি) বাংলা-বিহার উড়িষ্যা ফেরত দিতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে বিকৃত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সরব হন মমতা।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী দেশ। আর সেখানে ৩৭ তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। যে কোনও মাপকাঠিতে বাংলাদেশের থেকে অনেক গুণ এগিয়ে আছে ভারত।
Discussion about this post