নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কারা নির্বাচিত হবে রাষ্ট্র গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যদি তা নির্ধারণ করে দেয় তাহলে জুলাই-আগস্টের এ আত্মত্যাগের কী দাম থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদের একটি সমিতি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কালা কানুনের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ অনেক দলের আত্মত্যাগ অস্বীকার করা যাবে না। বিএনপিকে ভাঙার জন্য এই সরকারের ভেতরে ক্ষীণ প্রচেষ্টা কাজ করছে কিনা তা নিয়ে জনগণের ভেতরে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
বিএনপির অন্যতম এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের তৈরি আইনের সঙ্গে সাইবার সুরক্ষা আইনের কোনো পার্থক্য নেই। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের যে রুটটি দেখছি তাতে ভালো কিছু নেই। সরকার গুরুত্বপূর্ণ নথি চাওয়ার পরে সচিবালয়ে আগুন জনগণের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
রিজভী বলেন, সরকারের এই সংস্কার যে কী রূপ হবে, কোন পর্যায়ে নিয়ে যাবে তা আমরা বলতে পারি না। কারণ সাইবার সংক্রান্ত সংস্কারের যে রূপটি আমরা দেখছি। সেই রূপটি আমার মনে হচ্ছে ভালো কিছু ফিরছে না।
তিনি বলেন, চারদিকে বিভিন্ন ঘটনায় আমরা শংকিত, আমরা ভয়ার্ত, ব্যক্তিগতভাবে ভয়ার্ত নই, রাষ্ট্র নিয়ে আমরা ভয়ার্ত। আমরা এর আগেও দেখেছি, যখন কোন সচিব বা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ আসে। তখনই সচিবালায়ের মধ্যে ফাইল গায়েব হয়ে যায়, আগুন ধরে। গতকাল সচিবালয়ে মধ্যরাতে যে আগুন, আমরা কোন মুখরোচক কথা বলতে চাই না।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয় কিভাবে। পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ নিয়ে ভারত অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভারতের নীতি শেখ হাসিনার মাধ্যমে দেশে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পরবর্তিতে দেশকে শুধুমাত্র ভারত ছাড়া সবাই স্বীকৃতি দিয়েছে।
রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স-স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের (RUNESA) সভাপতি অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, কৃষক দল সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, রুনেসার সম্পাদক মল্লিক মো. মোকাম্মেল কবীর প্রমুখ।
Discussion about this post