লাইফস্টাইল ডেস্ক
শীত মানেই হরেকরকম গুড় খাওয়ার উপযুক্ত সময়। নলেন, ঝোলা, পাটালি, দানাসহ নানারকম গুড় এসময় চেখে দেখেন সবাই। খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি হয় লোভনীয় সব পিঠা, পায়েস, মিষ্টি খাবার। কেউবা রুটি-পরোটার সঙ্গে খান ঝোলা আর দানা গুড়।
ভোরবেলা গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় খেজুরের রস। এরপর গনগনে কাঠের আঁচে ধীরে ধীরে রঙ বদলে লালচে রঙ ধারণ করে। রস থেকে তৈরি হয় গুড়। গুড়ের মনমাতানো ঘ্রাণে আকৃষ্ট হন না এমন মানুষ কমই আছেন। কিন্তু সব ভেজালের ভিড়ে খাঁটি গুড়ের খোঁজ পাওয়াই কঠিন। গুড়ের সঙ্গে কেউ মেশান চিনি। কেউবা হলুদ আর চুন মিশিয়ে তৈরি করেন লাল রঙ। তাহলে আসল গুড় চিনবেন কী করে? জানুন তার উপায়-
গুড়ের রং
সাধারণত গুড়ের রং মেটে কিংবা কালচে বাদামি হয়ে থাকে। যদি দেখেন, গুড়ের উপরিভাগ হলদেটে কিংবা সাদাটে দেখাচ্ছে, তাহলে বুঝবেন তাতে রাসায়নিক মেশানো আছে। এমন গুড় কিনবেন না।
স্পর্শ
সামান্য একটু গুড় নিয়ে হাতের তালুতে ঘষুন। যদি তেলতেলে ভাব থাকে, তাহলে বুঝতে হবে এতে ভেজাল মেশানো হয়েছে। সাধারণত গুড়ে তৈলাক্তভাব আনার জন্য মিনারেল অয়েল মিশিয়ে দেওয়া হয়। খাঁটি গুড়ে এমনটা থাকে না। আসল গুড় ম্যাট টাইপ হয়।
স্বাদ ও গন্ধ
গুড় কেনার সময়ে চেখে দেখুন। যদি হালকা নোনতা স্বাদ পান, তাহলে বুঝবেন এতে ভেজাল মেশানো আছে। খাঁটি গুড় নরম হয়, দ্রুত ভেঙে যায়। চটচটেও হয়। গুড় যদি খুব শক্ত হয় তাহলে বুঝতে হবে তাতে চিনি বা কোনো রাসায়নিক মেশানো আছে। আসল খেজুরের গুড়ের সুবাস আনতে নানা রকম রাসায়নিক মেশানো হয় নকল গুড়ে। গন্ধ শুঁকলেই আসল আর নকলের পার্থক্য ধরা যায়।
হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড টেস্ট
এই পরীক্ষার জন্য এক চামচের মতো গুড় নিয়ে তাতে দুই থেকে তিন ফোঁটা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড মেশান। যদি দেখেন, গুড় থেকে ফেনা উঠছে তাহলে বুঝবেন এতে রাসায়নিক মেশানো আছে। খাঁটি গুড়ের ক্ষেত্রে এমন ফেনা উঠবে না।
পানির পরীক্ষা
পানির মাধ্যমে সহজেই গুড় পরীক্ষা করা যায়। এক গ্লাস পানি নিয়ে তাতে এক চামচ গুড় মেশান। যদি গুড়ে চকের গুঁড়ো মেশানো থাকে, তাহলে তা গ্লাসের তলায় জমা হবে। অন্যদিকে খাঁটি গুড় সহজেই পানিতে মিশে যাবে।
Discussion about this post