নিজস্ব প্রতিবেদক
সংবিধান বাতিল নয়, সংশোধন করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সংবিধানকে কবর দেয়ার কথা বলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শহীদের রক্তের ওপর লেখা সংবিধানকে কবর দেয়ার কথা শুনলে কষ্ট লাগে। শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে লেখা সংবিধান বাতিল করার চেষ্টা দুঃখজনক।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, সংবিধানে খারাপ কিছু থাকলে তা বাতিলযোগ্য। এই সংবিধানকে সংশোধন বা পুনর্লিখন করা যাবে। তবে কবর দেওয়া হবে এভাবে বলা ঠিক নয়। এগুলো ফ্যাসিবাদের ভাষা।
তিনি আরও বলেন, সচিবালয়ে বাকশালী সচিবকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাকশালীদের রেখে আপনারা কি সংস্কার করবেন। আপনারা আবারও কি আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন?
মির্জা আব্বাস বলেন, শুধু সংস্কার করবো, এক ঢোল পেটায় যাচ্ছি, কিছুই দেখছি না। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আছে কিন্তু সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নেই। সংস্কার করার কথা করেন, যতটুকু লাগে করেন। তারপর নিদিষ্ট সময় নির্বাচন দেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এককভাবে নিজেদের করে নিতে চায় মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নিভু নিভু অবস্থায়, তখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা রাজপথে নামে। এককভাবে কেউ কিছু দাবি করলে জনমনে বিভেদ সৃষ্টি হবে।
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার কথা ভাবে না। বিএনপির ভাবনা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার বিষয়ে। ১৭ বছর আন্দোলন কাজে লাগে নাই এটা বলা ভুল। ভবন নির্মাণের সময় নিচ থেকেই শুরু হয়, ওপর থেকে নয়। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনও তেমনভাবে হয়েছে। অনেকে অনেক কিছু বলছেন, যা ঠিক নয়।
বিএনপি নির্বাচন চায়, ভোটাধিকার চায় জানিয়ে তিনি বলেন, জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়। নির্বাচন দিলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে এটা ভাবে দেশের মানুষ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিএনপি ভাবে না। কেউ যদি ভাবে পুরো বাংলাদেশ তাদের পাশে আছে, তাই বলে যা খুশি তাই করবেন সেটা ভালো হবে না।
Discussion about this post