ডেস্ক
ইস্তেগফার অর্থ ক্ষমা প্রার্থনা। নিজের পাপ মোচনের জন্য আল্লাহর কাছে যে প্রার্থনা করা হয় তাকে ইস্তেগফার বলে। আস্তগফিরুল্লাহ অর্থ ‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ শুধু আস্তগফিরুল্লাহ পড়লেও ইস্তেগফার হয়। রাসুলুল্লাহ (স.) প্রত্যেক ফরজ নামাজশেষে ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ বলতেন। (মুসলিম: ১২২২)
তবে, ইস্তেগফারের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট বাক্য হলো- أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ উচ্চারণ: ‘আস্তগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।’ অর্থ: ‘আমি সেই আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি যিনি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব, অবিনশ্বর এবং আমি তাঁর কাছে তওবা করছি।’ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি উক্ত দোয়া পড়বে সে ব্যক্তির পাপরাশি ক্ষমা করা হবে; যদিও সে রণক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে (যাওয়ার পাপ করে) থাকে।’ (আবু দাউদ: ১৫১৭, তিরমিজি: ৩৫৭৭)
আরও অনেক বাক্যে ইস্তেগফার করা যায়। এক্ষেত্রে হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলো পাঠ করা উচিত। আরেকটি উল্লেখযোগ্য দোয়া হলো- سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، أَسْتَغفِرُ اللهَ، وَأَتُوبُ إِلَيْهِ উচ্চারণ: ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী, আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়াআতূবু ইলাইহ।’ অর্থ: ‘আল্লাহর প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তাঁর নিকট তওবা করছি।’ আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইন্তেকালের আগে উক্ত দোয়াটি অনেক বেশি পড়তেন। (মুসলিম, রিয়াজুস সালেহিন: ১৮৮৬)
এক্ষেত্রে ছোট্ট এই দোয়াটিও পড়া যায়- أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ وَأَتوبُ إِلَيْهِ উচ্চারণ: ‘আসতাগফিরুল্লাহা ওয়া আতূবু ইলাইহি।’ অর্থ: ‘আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং তাঁর নিকট তাওবা করছি।’ আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (স.)-এর চেয়ে আর কাউকে এটি অধিক পরিমাণে পড়তে দেখিনি।’ (সহিহ ইবনু হিব্বান: ৯২৮)
আলেমদের পরামর্শ হলো- ছোট বড় দুভাবেই ইস্তেগফার করবেন। যেহেতু রাসুলুল্লাহ (স.) দু’ভাবেই ইস্তেগফার করেছেন। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।
Discussion about this post