স্পোর্টস ডেস্ক
মোহামেডানের বিপক্ষে আবাহনীর জয়টি সমর্থকদের জন্য চলে গিয়েছিল স্মৃতির পটে। ২০২৩ সালের ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ২-০ গোলে জয়ের পর প্রায় দুই বছর ও ৬ ম্যাচে মোহামেডানের বিপক্ষে আর জয় পায়নি আবাহনী। চারটি ম্যাচে জয় পায় মোহামেডান এবং দুটি ম্যাচ হয় ড্র।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) কুমিল্লার ভাষাশহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের গ্রুপ ম্যাচে মোহামেডানকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রায় দুই বছর পর মোহামেডানকে হারানোর মধুর স্বাদ পেলো আবাহনী। এবারের এই জয়ে বিদেশি ছাড়াই জয় তুলে নেয় আবাহনী।
আবাহনীর জয়ের নায়ক ছিলেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম। ৭৪ মিনিটে মোহামেডানের সাবেক এই ফরোয়ার্ড একটি দারুণ ফিনিশিংয়ে আবাহনীর হয়ে একমাত্র গোলটি করেন। শাকিলের শট ধরার পর মোহামেডানের আরেক সাবেক ফুটবলার শাহরিয়ার ইমন বলটি ক্রস করেন বক্সে। সেই ক্রস থেকে পা চালিয়ে ইব্রাহিম গোল করে দলকে এগিয়ে নেন।
মোহামেডান কিন্তু ১০ মিনিট আগে লিড নিতে পারত। বাঁ প্রান্ত থেকে সোলেমান দিয়াবাতের কর্নার থেকে বক্সে দাঁড়িয়ে ফ্লিক করেছিলেন মইন। কিন্তু সেই বল দুর্দান্তভাবে ক্লিয়ার করে দলের রক্ষা করেন আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা। পিছিয়ে পড়ার পর মোহামেডান আর ম্যাচে ফেরার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। এমনকি ইনজুরি সময়ে মাহদির শট মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন সেভ করলে আবাহনী ১-০ গোলে জয়ী হয়।
এটি ছিল এই মৌসুমে দুই ক্লাবের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো সাক্ষাৎ। এক মাস আগে আবাহনীকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল মোহামেডান। আজকের জয়টি আবাহনীর ফেডারেশন কাপের কোয়ালিফাইং পর্বে ওঠার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে। দুই ম্যাচে আবাহনীর পয়েন্ট ৬, মোহামেডানের পয়েন্ট ৩।
মোহামেডানের জন্য এটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ, কারণ প্রথম ম্যাচে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে হারার পর তারা গ্রুপে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে। বর্তমানে শীর্ষে ও দ্বিতীয় স্থানে রহমতগঞ্জ ও আবাহনী রয়েছে, উভয়ের পয়েন্ট ৬। বাকি দুই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট পেলেই পরবর্তী রাউন্ডে উঠতে পারবে আবাহনী ও রহমতগঞ্জ। তবে মোহামেডান যদি পরবর্তী ম্যাচে জয়ও পায়, তাতে তাদের পরবর্তী রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনা কম, কারণ দুই হারের পর তাদের জন্য গ্রুপ থেকে ওঠা কঠিন হবে।
Discussion about this post