স্পোর্টস ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর প্রায় দুই দশক পর ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে গিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ অ্যাকশনে বোলিং করার অভিযোগ উঠেছে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে। ইংল্যান্ডে পরীক্ষা দিয়ে পাস না করায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার বোলিং নিষিদ্ধ করে আইসিসি। এবার চেন্নাইতে পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারেন তিনি।
বোলিং অ্যাকশন ত্রুটিমুক্ত প্রমাণ করতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) অধীনে চেন্নাইয়ে গত ২১ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেন সাকিব আল হাসান। বিসিবির একটি সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, ওই রিপোর্ট সম্পর্কে বোর্ডকে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। সেখানেও সাকিবের বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি পাওয়া গেছে।
তবে আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি এখনো বোর্ড পায়নি। যে কারণে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বিসিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। এমন অবস্থায় বড় শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে সাকিবকে।
আইসিসির নিয়ম অনুসারে, প্রথমবার বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ার পর দুই বছরের মধ্যে যদি দ্বিতীয়বার ত্রুটি ধরা পড়ে সেক্ষেত্রে এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হবেন ওই ক্রিকেটার। এমনকি ওই এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পার না হওয়ার আগে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিতে পারবেন না তিনি।
এ ছাড়াও ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশন ধারায় বেশ কিছু শর্তও আছে। যেমন কোন বোলারের যদি নির্দিষ্ট কোন ডেলিভারির ক্ষেত্রে অ্যাকশন ক্রুটিপূর্ণ হয়, সেক্ষেত্রে ওই নির্দিষ্ট ডেলিভারিই কেবল করতে পারবেন না ওই ক্রিকেটার। এমনটি হলে আর্ম বল করতে পারবেন না সাকিব। কারণ, তার আর্ম বল ডেলিভারিতে ত্রুটি পেয়েছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।
তাই বিসিবির কাছে বোলিং অ্যাকশনের আনুষ্ঠানিক রিপোর্ট আসলেই কেবল সাকিবের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে একটি ম্যাচ খেলেন সাকিব। তখনই আম্পায়ার তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
Discussion about this post