আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে ৪টি পণ্যবাহী জাহাজ আটকে দিয়েছে দেশটির বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ২টি ও শুক্রবার ২টি মোট ৪টি জাহাজ আটকানো হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাহাজগুলো ছাড়া হয় নাই।
শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) জাহাজ গুলো মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া নামক জলসীমা এলাকায় দিয়ে বাংলাদেশের টেকনাফে আসার পথে তল্লাশির অজুহাতে আটকে রাখেন। জাহাজ গুলোতে আচার, শুটকি, সুপারিসহ বিভিন্ন মালামাল রয়েছে।আরাকান আর্মি মিয়ানমারের মংডু টাউন শিপের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দের নৌযান চালাচল বন্ধ রয়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহেতাশামুল হক বাহদুর জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার দুটি ও শুক্রবার দুটিসহ মোট চারটি পণ্যবাহী জাহাজ মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসার সময় আরাকান আর্মি টেকনাফ জেটিঘাটের ওপারের মিয়ানমার সীমান্তে আটকে দেয়। এরপর থেকে আজ শনিবার তিন দিন হচ্ছে, এখনো পণ্যবাহী জাহাজ চারটি আরাকান আর্মি ছেড়ে দেয়নি। জাহাজগুলো আরাকান আর্মি আটকের বিষয়ে আমাদের বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিষয়টি অবগত করেছি। সেগুলো ফেরত আনার বিষয়ে তারা চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
তিনি আরও বলেন, আটক জাহাজে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের আনুমানিক ৩০-৪০ কোটি টাকার পণ্য রয়েছে। এমন ঘটনায় বন্দরের আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
টেকনাফ স্থলবন্দরের ম্যানেজার জসিম উদ্দিন জানান, টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে ২ দিনে ৪টি মালবাহী জাহাজ আটক করেছে আরাকান আর্মি। তবে তা ছাড়িয়ে নিতে আমদানি কারকেরা চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জেনেছি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানান, মিয়ানমারের জলসীমা থেকে আরাকান আর্মি জাহাজগুলো আটক করে নিয়ে গেছে। তাতে আমাদের করার কিছু নেই। তবে আমি ওই বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
Discussion about this post