নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর কেরানীগঞ্জে ড্যাপ নকশায় জলাশয় দেখানো ভুমিতে আবাসন প্রকল্প নির্মাণ,নকশা বহির্ভূত ও অনুমোদনহীন ভবন অপসারণে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(রাজউক) ।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাজউক এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল ইসলাম।
এসময় টোটাইল মৌজায় অবস্থিত শতাধিক প্লটের সীমানা প্রাচীর, বেশ কয়েকটি ভবনের আংশিক অংশ, বৈদ্যুতিক খুঁটি, সাইনবোর্ড, গেট ভাংচুর ও ভরাট করা অংশের রাস্তা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী স্থানীয় ভুমি মালিকদের অভিযোগ কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে তাদের ব্যক্তি নামে রেকর্ডীয় নাল ও বোরো জমি যা সরকার ঘোষিত আবাসিক শ্রেণি হিসেবে খাজনা পরিশোধ করে ভোগদখল করা ভুমিতে রাজউকের অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।
ভুক্তভোগী ভুমি মালিক মরতুজ আলী জানান, আমাদের তিন রেকর্ড হওয়া নাল জমি যা আবাসিক ভুমি শ্রেণীতে খাজনা পরিশোধ করে সীমানা প্রাচীর তৈরী করে তাতে ছোট একটি টিন সেড ঘর তৈরী করে অবশিষ্ট জমি বিভিন্ন সবজি চাষ করে ভোগদখল করছি। কিন্তু বিনা নোটিশে আমার তৈরী সীমানা প্রাচীর ও কৃষি সরঞ্জাম রাখার কক্ষটি আজকের অভিযানে ভেংগে ফেলা হয়েছে। আমরা ক্ষতিপূরণ দাবি করে আদালতের মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তবে রাজউক বলছে এগুলো সিএস রেকর্ড মোতাবেক সরকারি সম্পত্তি, মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনের আদেশ অমান্য করে এই জায়গা ভরাট করা হয়েছে। তাই এ অভিযান।
অভিযানকালে পুলিশ,র্যাব,বিজিবিসহ উপস্থিত ছিলেন প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম, জোন পাঁচ এর পরিচালক হামিদুল ইসলাম, অথরাইজ অফিসার মেহেদী হাসান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাব আল হোসাইনসহ অনেকে।
Discussion about this post