লাইফস্টাইল ডেস্ক
বর্তমানে চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা। খারাপ জীবনধারা, মানসিক চাপ, সঠিক খাবার না খাওয়ার অভ্যাস, শব্দ দূষণ ইত্যাদি চুলের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এমন পরিস্থিতিতে চুল পড়ার সমস্যা কমাতে সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি সঠিক পুষ্টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু খাবার রয়েছে যা চুলকে ভেতর থেকে মজবুত ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। চলুন খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে নিই-
ডিম
প্রোটিন ও বায়োটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস ডিম, যা চুলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিমের প্রোটিন চুল মজবুত করতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিমে থাকা বায়োটিন চুলের বৃদ্ধি করে এবং চুল পড়া কমায়। ডিমে উপস্থিত জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারি।
পালং শাক
এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফোলেট, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি, যা চুলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আয়রনের ঘাটতি হলে চুল পড়ার পড়ার হার বাড়ে। এই ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে পালং শাক। ভিটামিন সি শরীরে আয়রনের শোষণ বাড়ায়। অন্যদিকে ভিটামিন এ সিবাম তৈরি করে, যা স্ক্যাল্প আর্দ্র রাখে এবং চুলকে সুস্থ রাখে।
বাদাম ও বীজ
বাদাম, আখরোট, তিসির বীজ এবং চিয়া বীজে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম। এই পুষ্টি উপাদানগুলো চুল বাড়াতে সাহায্য করে এবং স্ক্যাল্পকে ভালো রাখে। বিশেষত, আখরোটে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে চকচকে এবং মজবুত করে তোলে। এছাড়াও, জিঙ্ক চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে।
মিষ্টি আলু
বিটা-ক্যারোটিনের একটি ভালো উৎস মিষ্টি আলু। এটি শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। এই ভিটামিন সিবামের উৎপাদন বাড়ায়, যা মাথার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং চুলকেও সুস্থ রাখে। এছাড়াও, মিষ্টি আলুতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে চুলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
অ্যাভোকাডো
স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল অ্যাভোকাডো। ভিটামিন ই নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এছাড়াও, অ্যাভোকাডোতে থাকা মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট চুলকে আর্দ্রতা দেয় এবং চকচকে রাখে।
চুল পড়া কমাতে রোজকার খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলো রাখুন।
Discussion about this post