নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক দাবি করে দ্রুত নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দায়িত্ব ছাড়তে হবে।রোববার রাজধানীর কয়েকটি কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছিনতাই, হামলা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে নিরাপত্তা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একাধিক ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে ইডেন মহিলা কলেজের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় প্রশাসন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। শিক্ষার্থীদের দাবি, শুধু জানুয়ারি মাসেই দেশে দুই শতাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘এ ঘটনাগুলোর যদি সুষ্ঠু কোনো বিচার না পাই তাহলে তারা আবারও রাস্তায় দাঁড়াতে বাধ্য হবে। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেন। না নিলে এই যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টারা বসে আছেন, তাদের তো এই চেয়ারে বসার কোনো মানে নেই।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ দাবি করে দেশে দ্রুত গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান, তারা।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই অভ্যুত্থানের সামনের সারিতে ছিলেন নারীরা। আজকে তারা ঘরের মধ্যেও নিরাপদ বোধ করছে না। যে রাষ্ট্র নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না, সে রাষ্ট্র আমরা চাই না। এই রাষ্ট্র প্রধানও আমরা চাই না।’
ছিনতাই-ডাকাতি ও সব ধরনের অরাজকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরাও।
কলেজটির একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘২৪ পরবর্তী সময়ে আমরা একটি নিরাপদ বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। যেখানে রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক, কোনো ধরনের অনিরাপদ পরিস্থিতি থাকবে না।’
ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেও নিরাপত্তা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিভিন্ন প্রতিবাদী প্লাকার্ড প্রদর্শন করে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির দাবি জানান। পরিপূর্ণ নিরাপত্তা না দিতে পারলে দায়িত্বরতদের সরে যাওয়ার আহ্বানও জানান তারা।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘উনি যদি না পারেন, প্লিজ আপনি যদি না পারেন তাহলে আমাদের দেশকে আর দুই দিনে ১৭টা থেকে ৫০টা ধর্ষণে নিয়ে যাইয়েন না। সরকারের এখন উচিত পুলিশ প্রশাসনকে একটু স্ট্রংলি হ্যান্ডেল করা।’
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরাও একই দাবিতে সড়কে অবস্থান নেন। গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারের পতনের পরও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তারা।
Discussion about this post