স্পোর্টস ডেস্ক
বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় উতরে গেছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে টানা অনিশ্চয়তা ও টানাপোড়েনের মধ্যেই একটি সুখবর পেলেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। কয়েক মাস ধরে স্রেফ ‘ব্যাটসম্যান’ পরিচয় থাকলেও এখন আবার তিনি ফিরে পেলেন তার অলরাউন্ডার সত্ত্বা এবং দেশের বাইরের নানা লিগে তার খেলার সুযোগ আরও বাড়তে পারে বলে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
গত সেপ্টেম্বরে সারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। তখন ব্যাপক বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছিল সেই খবর। কারণ, বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে সুদীর্ঘ পথচলায় আগে কখনোই তার অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ জাগেনি। সমারসেটের বিপক্ষে সেই ম্যাচে মোট ৬৩.২ ওভার বোলিং করেছিলেন তিনি, উইকেট নিয়েছিলেন ৯টি।
পরে আইসিসি অনুমোদিত ল্যাবে পরীক্ষা দিয়েও তার অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ে। গত ডিসেম্বরে বিসিবি জানায়, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট বাদে অন্য কোথাও বোলিং করতে পারবেন না ৩৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। পরে আরেক দফায় পরীক্ষাতেও অ্যাকশন শুদ্ধ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন তিনি।
এরপর আর তাড়াহুড়ো না করে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কিছুটা কাজ করেন সাকিব। এই মাসেই ইংল্যান্ডে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন আবার। অবশেষে এবার মুক্তির খবর পেলেন স্বীকৃত ক্রিকেটে ৮৬০ ম্যাচ খেলে ১ হাজার ২৪৭ উইকেট শিকার করা বোলার।
সারের হয়ে ওই ম্যাচটি খেলার পর ওই মাসেই ভারত সফরে বাংলাদেশের হয়ে দুটি টেস্ট খেলেছেন সাকিব। নভেম্বরে আবু ধাবি টি-টেন ক্রিকেটে সাতটি ম্যাচ খেলেছেন বাংলা টাইগার্সের হয়ে। পরে শ্রীলঙ্কায় খেলেছেন টি-টেন ক্রিকেটে। ওই টুর্নামেন্ট চলার সময়ই তার বোলিং নিষেধাজ্ঞার খবর আসে। এরপর টুর্নামেন্টের বাকিটায় শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন তিনি। পরে স্বীকৃত কোনো ধরনের ক্রিকেটে তাকে দেখা যায়নি।
অক্টোবরে বিদায়ী টেস্ট খেলতে তিনি দেশে ফেরার কথা থাকলেও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় তাকে ফিরে যেতে হয় মাঝপথ থেকেই। গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আর দেশে ফিরতে পারেননি ওই সরকারের সংসদ সদস্য এই ক্রিকেটার। গত মাসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাংলাদেশ দলেও তাকে রাখা হয়নি বোলিংয়ের নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে। এখন নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোয়াশাঁ থাকছেই।
Discussion about this post