ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পথে মেট্রোরেল চলাচল ৩৭ দিন বন্ধ ছিল। আজ থেকে যাত্রী সেবা দেওয়া শুরু হয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল ৭টা ১০ মিনিট এবং ৭টা ২০ মিনিটে উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন থেকে দুটি ট্রেন মতিঝিলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এর আগে, শনিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৬) অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মেট্রোরেল ট্রায়াল (পরীক্ষামূলকভাবে চালানো) দেওয়া হয়েছে। রোববার মেট্রোরেল চালু করা সম্ভব।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানায়, যাত্রীদের জন্য মেট্রোরেল ভ্রমণসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী ডিএমটিসিএল-এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে পাওয়া যাবে। তবে, অনিবার্য কারণবশত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে আপাতত মেট্রোরেল থামবে না এবং যাত্রীসেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল ৭টা ১০ মিনিট এবং সকাল ৭টা ২০ মিনিটে উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া মেট্রো রেল দুটিতে শুধুমাত্র এমআরটি পাস ব্যবহার করে ভ্রমণ করা যাবে। রাত ৯টা ১৩ মিনিটের পর মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া মেট্রো রেলসমূহে শুধুমাত্র এমআরটি পাস ব্যবহার করে ভ্রমণ করা যাবে। মেট্রোরেল স্টেশন হতে সকাল ৭টা ২০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সিঙ্গেল জার্নি টিকিট ক্রয় করা যাবে। একই সঙ্গে এমআরটি পাস ক্রয় এবং এমআরটি পাস টপ আপ করা যাবে। রাত ৮টা ৫০ মিনিটের পর মেট্রোরেল স্টেশনসমূহের সব টিকিট বিক্রয় অফিস এবং টিকিট বিক্রয় মেশিন বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে ওইদিন বিকেল ৫টায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ১১ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, ১৭ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চালু হবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করবে। তবে মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে আপাতত ট্রেন থামবে না। কারণ, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় এ দুটি স্টেশন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এরপর ১৫ আগস্ট ডিএমটিসিএল সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১৭ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চালু সম্ভব হচ্ছে না বলে জানানো হয়। এতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে প্রয়োজনীয় কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি।
ডিএমটিসিএল সূত্রে সম্প্রতি জানা যায়, মেট্রোরেলের লাইন, কোচ ও সংকেত ব্যবস্থা সবই ঠিক ছিল। এরপরও মেট্রোরেল চালু না হওয়ার কারণ ছিল নিচের দিকের কর্মীদের কর্মবিরতি। বড় কর্মকর্তারা বাড়তি সুবিধা নিচ্ছেন, এমন অভিযোগ এনে কর্মবিরতিতে যান মেট্রোরেলের কর্মচারীরা। এ জন্যই কারিগরি কোনো সমস্যা না থাকার পরও মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। পরে কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার পর তাদের দাবি পূরণের বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়।
Discussion about this post