নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বাকি তিনটি উপজেলাতে পানি কমছে ধীরগতিতে। গত কয়েক দিনে পানি কমেছে দুই ফুট। পানিবন্দি ও ঘরে ফেরা মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। দাগনভূঞা ও সোনাগাজীসহ ফেনী সদরের কয়েক লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দি। তাদের কষ্টের সীমা নেই। খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে প্রকট। শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি, জরুরি ওষুধপত্রসহ নানাবিধ রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে। এ পর্যন্ত ১৭টি গলিত মরদেহ পাওয়া গেছে বিভিন্নস্থানে। অনেকেই পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়াতে মানুষ বিধ্বস্ত বাড়িতে প্রবেশ করছে। তাদের দুর্ভোগ ও দুর্গতি বেড়েছে।
এদিকে ফেনী জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগ ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। যদিও সমন্বয়ের অভাবে সুষম বণ্টন না থাকায় অনেক জায়গায় ত্রাণ, খাদ্য সামগ্রী না পাওয়ার অভিযোগ করেন অনেকে। বিএনপি, জামায়াত তাদের ওয়াডভিত্তিক নেতাকর্মীদের মাধ্যমে বিলি বণ্টন করছেন বলে জানায়। সব উপজেলায় ও জেলায় মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা চালু করেছে প্রশাসনসহ রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষ থেকে।
ভুক্তভোগীরা জানান, মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ার পানি কমতে আরও সময় লাগবে। যেহেতু সাগরের জোয়ারের পানি সহজে প্রবেশ করছে। ফলে দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলাবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই।
ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার জানান, দশলাখ লোক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানি কমতে শুরু করছে। আগামী ২-৪ দিনের মধ্যে পানি সরে যাবে। এক হাজার কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে বলে জানান। ৬৫ হাজার গবাদিপশুসহ প্রায় তিন লাখ হাস মুরগি মারা গেছে। সাপের কামড়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪০ জন। শিশু ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন প্রায় শতাধিক রোগী। বানভাসিদেরকে সরকারি ভাবে সাহায্য সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।
Discussion about this post